ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মৃত বেড়ে ৮০

আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মোদি

প্রকাশিত: ১৯:১২, ২৩ মে ২০২০

আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে হেলিকপ্টারে আমফানে দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন মাদি। শুক্রবারই রাজ্যটিতে আসার পর প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাকে স্বাগত জানান। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফানের আঘাতে মৃত্যু বেড়ে ৮০ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার মমতা জানান, আমফানের আঘাতে তার রাজ্যে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখে তা কেন্দ্রের কাছে পেশ করা হবে। তার পর দেখা যাক কত কী দেয় কেন্দ্র।’ বৃহস্পতিবার নবান্নে এভাবেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলায় আসার আবেদন রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। তার এ মন্তব্যের প্রায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই খবর আসে যে পশ্চিমঙ্গে আসনের নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার দমদম বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বৈঠকে বসেন মোদি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই দুর্যোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজনীতি না করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ঝড়টি পুরোটাই পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। এতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভূমিতে ঢুকে পড়তে শুরু করে। সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়ে আমফান। কলকাতায় ঘণ্টায় প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার বেগে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া। এর জেরে ল-ভণ্ড হয় কলকাতাসহ দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর। হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেরও হাজার হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ভেঙেছে। ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাওড়ার শালিমারে ঝড়ে উড়ে যাওয়া টিনের আঘাতে মারা গেছে ১৩ বছরের এক কিশোরী। মিনাখাঁয় মাথায় গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক নারীর। বসিরহাটে বাড়ির উঠানে গাছ ভেঙে পড়ে মারা গেছে ২০ বছরের এক তরুণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, মৃতের সংখ্যাটা এখনি বলা যাচ্ছে না। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উপকূলীয় সুন্দরবন, দিঘাসহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বহু এলাকা, মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুর, কুলপি, পাথরপ্রতিমা, নামাখানা, বাসন্তী কুলতলি, বারইপুর, সোনারপুর, ভাঙড়া, কাকদ্বীপ মিনাখাঁ, রাজারহাট, বনগাঁ, বাগদা, হাবড়া, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদসহ উত্তর চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অংশ ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। পানির তোড়ে ভেসে গেছে সড়ক, সেতু, বাড়িঘর। ভেঙে গেছে বহু নদীর বাঁধ, নষ্ট হয়েছে চাষের জমি। আমফানের প্রভাবে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস বেড়েছে। ঝড়ের দাপট বিকেলের পর থেকে বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের দাপট বাড়ে। দিঘায় সকাল থেকেই সমুদ্র ছিল উত্তাল। প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। সমুদ্রবাঁধও কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। -এনডিটিভি ও পিটিআই
×