ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় অর্ধেক কমেছে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২১ মে ২০২০

করোনায় অর্ধেক কমেছে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২০ মে ॥ দিনদিন কমছে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়। গত ৪৪ দিনে প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে সেতুটির টোলের আদায়কৃত টাকার পরিমাণ। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্তের ফলে সেতুটি দিয়ে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বর্তমানে প্রতিদিনে গড়ে সেতু দিয়ে পারাপারের পরিবহন সংখ্যা কমেছে ১৪/১৫ হাজার। আর আদায়কৃত টোলের টাকা কমেছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ। জানা যায়, উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলার ৯২টি রোডসহ ১২২ রোডের যানবাহন ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করে। সেতু পারাপারের টোল বড় ট্রাক ১৪০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ১১০০ টাকা, ছোট ট্রাক ৮৫০ টাকা, বড় বাস ৯০০ টাকা, ছোট বাস ৬৫০ টাকা, কার/হালকা যানবাহন ৫০০ টাকা আর মোটরসাইকেল ৪০ টাকা। এছাড়াও সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ, টোল আদায়সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মরত রয়েছেন ১২৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী। টোল আদায়ের টাকা থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতাদিসহ আনুষঙ্গিক খরচ বহন করছে সেতু বিভাগ। সেতুর টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যে জানা যায়, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৫ মার্চ থেকে দেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ আদেশ ঈদের পর পর্যন্ত থাকবে। এর ফলে সেতুতে বন্ধ রয়েছে সকল গণপরিবহন চলাচল। স্বাভাবিক অবস্থায় সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ১৭ হাজার পরিবহন চলাচল করত। যা থেকে টোল আদায় হতো ১ কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। সেতু দিয়ে এখন চলাচল করছে শুধু পণ্য পরিবহন। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে সেতুর টোল আদায় কমেছে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা। এছাড়াও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুতে যানবাহন পারাপারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এখন প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার। বর্র্তমানে শুধু পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি এবং সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে এখন সেতুর টোল আদায় আরও কমবে নাকি বাড়বে।
×