ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিদাহাস ট্রফি ॥ ফাইনালে যে পরিকল্পনা ছিল কার্তিকের

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ২৪ এপ্রিল ২০২০

নিদাহাস ট্রফি ॥  ফাইনালে যে পরিকল্পনা ছিল কার্তিকের

অনলাইন ডেস্ক ॥ নিদাহাস ট্রফি ২০১৮- বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে হতাশা উপহার দেয়া আরেক টুর্নামেন্ট। শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ জিতে ফাইনালে গেলেও, আটকা পড়তে হয়েছে ভারত বাধার সামনে। তাও সেটি কি না একদম ম্যাচের শেষ বলে গিয়ে। ভারতকে সেই আসরের শিরোপা জেতানোর নায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক। বাংলাদেশের করা ১৬৬ রানের জবাবে শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ৩৪ রান। ঠিক তখনই উইকেটে আসেন কার্তিক। খেলেন ৮ বলে ২৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস, জিতিয়ে দেন নিজ দলকে। ১২ বলে ৩৪ রানের সমীকরণে রুবেল হোসেনের করা ১৯তম ওভার থেকেই ২২ রান নিয়ে নেন কার্তিক। তবে শেষ ওভারে ঘুরে দাঁড়ান সৌম্য সরকার। প্রথম পাঁচ বলে খরচ করেন মাত্র ৭ রান। শেষ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। সৌম্যর করা ওয়াইড ইয়র্কার ডেলিভারিকে এক্সট্রা কভার দিয়ে ছক্কা মেরে দেন কার্তিক। নিশ্চিত হয় অবিস্মরণীয় এক জয়। কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার সময় কী চলছিল কার্তিকের মাথায়? যেকোন দিনে ১২ বলে ৩৪ রান করা বেশ দুঃসাধ্য বিষয়। সেটি কীভাবে সাধন করলেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান?- উত্তর দিয়েছেন কার্তিক, জানিয়েছেন সেই ইনিংসে নিজের পরিকল্পনার কথা। ক্রিকবাজের সঙ্গে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেছেন, ‘আমি যখন নামলাম, তখন অবশ্যই একটা প্ল্যান ছিল মাথায়। এসব ক্ষেত্রে অনুশীলন আপনাকে সাহায্য করে। আপনি অনুশীলনে একটা জিনিস বারবার করতে থাকলে, সেটা আপনার মধ্যে অটো মুডে চলে আসে। আপনার কী করা উচিৎ- এটা জেনে গেলে সেটা অর্জন করা খুব সহজ হয়।’উইকেটে যাওয়ার সময় বিশ্বাস ছিল আমি এটা পারবো, মঞ্চটা আমার জন্যই প্রস্তুত ছিল। শুধু কাজটা শেষ করতে হবে। এসব সময় প্রোগ্রামিংয়ের মতো আগায় সবকিছু। বোলার কোথায় বোলিং করবে, গ্যাপ কোথায় আছে- এসব স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাথায় চলে আসে। ফিনিশার হিসেবে ধারাবাহিক হওয়ার জন্য পুরো ইনিংসটা প্রোগ্রাম করেই নামতে হয়।’এসময় ফিনিশারদের গুণাবলী সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সাধারণত গ্যাপ দেখার চেষ্টা করি কিংবা বোলার কোথায় বল করবে সেটা চিন্তা করে থাকি। ফলে আপনি যখন অনেক বেশি অনুশীলন করবেন, অনেক ভিডিও দেখবেন, মাঠের কোন পাশের বাউন্ডারি ছোট- এসব মাথায় রাখবেন, তখন আপনার ধারাবাহিক সফলতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।’
×