ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনা আক্রান্ত ১৫ জন সুস্থ, আইসোলেশনে ৪৭

নতুন রোগী নেই, মৃত্যুও নেই

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২৯ মার্চ ২০২০

নতুন রোগী নেই, মৃত্যুও নেই

নিখিল মানখিন ॥ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ জনে। মৃতের সংখ্যা ৫ জনই রয়ে গেছে। করোনা রোগী সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছে ৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোতে করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে ৭৩ হাজার। আগামী দেড় সপ্তাহের মধ্যে সব বিভাগে নমুনা শনাক্ত পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকজন সন্দেহজনক করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তি এবং এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, সেবাকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সরবরাহ অব্যাহ রেখেছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে জনগণের আন্তরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণের পরবর্তী পর্যায় ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ থেকে রেহাই পাবে দেশ ও দেশবাসী। পাশাপাশি ঘরের বাইরে আসা লোকজনের সার্বিক অবস্থা বুঝে, বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা জানার পর অত্যন্ত সহমর্মিতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন শনাক্ত রোগী নেই ॥ আইইডিসিআর আইইডিসিআর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারও নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) ডাঃ হাবিবুর রহমান। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ পর্যন্ত এক হাজার ৬৮টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। আর গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ জনের নমুনা। এছাড়া চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজ (বিআইটিআইডি)-এ গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচটিসহ সর্বমোট আটটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোন সংক্রমিত রোগী পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ এখনও মোট নিশ্চিত রোগীর সংখ্যা ৪৮। ডাঃ ফ্লোরা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কোভিড-১৯ নিয়ে তিন হাজার ৪৫০টি কল এসেছে। যারা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১৫ জন এখন পুরোপুরি সুস্থ, কোন সংক্রমণ নেই। এর মধ্যে ৯ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী, তাদের বয়স দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ বছর। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যাদের কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ নির্মূল হয়েছে তাদের একটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, লক্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা সর্বোচ্চ ১৬ জন হাসপাতালে ছিলেন। তাদের চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের লক্ষণ ও উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের কিডনি সমস্যা ছিল। তাকে সেখানে ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি এখন কোভিড সংক্রমণমুক্ত। তিনি আগে দৈনন্দিন যেভাবে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন এখন সেভাবে চিকিৎসা করাতে পারবেন। আর গতকাল যে চারজন সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন তার মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকি দুই জনের কোন কোমরবিডিটি ছিল না। ডাঃ ফ্লোরা বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে গত শুক্রবার দুই চিকিৎসকসহ যে চারজন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন, তারা ছাড়াও আরেকজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। তাদের আমরা আলাদা করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এছাড়া আক্রান্তদের সার্বিক বিবেচনায় কোন ধরনের জটিলতা নেই। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনগুলোতে কল এসেছে ৭৩ হাজার ॥ সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র শনিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়নে ৬৮ হাজার ৩৯৪টি, ৩৩৩ নম্বরে ১৩৩৫টি ও আইইডিসিআর’র নম্বরে ৩৪০৫টি অর্থাৎ মোট ৭৩ হাজার ১৩৪টি করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ৩৬ জন, সমুদ্রবন্দরসমূহে ২১৫ জন, স্থলবন্দরসমূহে ১৫৯ জনকে স্ক্রীনিং করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ৪০৩৯ জন। বর্তমানে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৮ হাজার ৩৪১ জন এবং এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে মোট ৫৩ হাজার ২৩৫ জনকে। হোম, হাসপাতাল ও অন্যান্য কোয়ারেন্টাইনে বর্তমানে রয়েছে মোট ২৮ হাজার ৪৮৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আসা মোট ৩৩১ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছে মোট ৪৭ জন। আগামী দেড় সপ্তাহের মধ্যে সব বিভাগে নমুনা শনাক্ত পরীক্ষা ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতর শনিবার করোনাভাইরাস নিয়ে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সব বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নমুনা শনাক্ত পরীক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, ৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ উপজেলায় সবধরনের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের ভিডিও কনফারেন্সে ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। শনিবারও বাকি উপজেলাগুলোতে ট্রেনিং দেয়া হয়। ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকার মধ্যে আইইডিসিআর ছাড়াও আইপিএইচ, আইসিডিডিআরবি, ঢাকা শিশু হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শীঘ্রই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মস ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পলিমার চেইন রিএ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন স্থাপন করা হবে। ডাঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকার বাইরে প্রত্যেকটি বিভাগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে ইতোমধ্যে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন স্থাপনের কাজ চলছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্পেশালিস্ট পাঠানো হয়েছে। তারা সেখানে কাজ করছেন। হাবিবুর রহমান বলেন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অতিরিক্ত ১৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউটে আটটি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্স, সেবাকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দেয়া হয়েছে। পিপিইর কোন ঘাটতি নেই। আমরা প্রতিনিয়তই সংগ্রহ করছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগী ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব চিত্র বেরিয়ে এসেছে। বগুড়ায় সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যু ॥ বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের এক ব্যক্তি শনিবার ভোরে করোনা সন্দেহে মারা গেছে। তার বয়স প্রায় ৪৫ বছর। তিনি মঙ্গলবার ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নিজ বাড়ি দাড়িদহ গ্রামে যান। সিভিল সার্জন গাউসুল আজিম চৌধুরী জানান, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মীরা ব্যক্তি সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) পরে মৃতব্যক্তির নাসিকা থেকে গড়ানো পদার্থ (নজেল সুওর) সংগ্রহ করেছে। নমুনা ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে তিনি কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা। আইইডিসিআরের দেয়া সতর্কতা স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মৃতব্যক্তির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শিবগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আলমগীর কবীর জানান, এই ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামের মৃতব্যক্তির স্ত্রীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে আশপাশের ১৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। ওই বাড়ি ঘরের সকল সদস্যকে ঘরের বাইরে না আসার অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন জানান, মৃত ব্যক্তি ঢাকার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ক’দিন ধরে তিনি সর্দিকাশি জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। তার উচ্চ রক্তচাপ ছিল। তার শ^াসকষ্ট বেড়ে গিয়ে মৃত্যু হলে লোকজনের মনে করোনা সন্দেহ দেখা দেয়। শনিবার ভোরে খবর দেয়া হয় স্বাস্থ্য বিভাগকে। ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন থেকে অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার পরামর্শ দিয়েছে। কক্সবাজারে এক করোনা রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি ॥ জেলা সদর হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকা ৭০ বছর বয়স্ক করোনা আক্রান্ত মহিলা রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালে রেফার করেছেন। বিষয়টি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত মহিলা রোগীর আগে থেকেই এজমাসহ বিভিন্ন জটিল রোগ ছিল। মহিলাটির এসব রোগসহ করোনা রোগের সমন্বিত চিকিৎসা করা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই করোনা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে ঢাকার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে উমরাহ হজ করতে গিয়ে গত ১৩ মার্চ মহিলাটি তার সন্তানসহ দেশে ফেরেন। পরে মহিলাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশ থেকে আসার বিষয়টি সম্পূর্ণ গোপন রেখে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২২ মার্চ মহিলাটির চিকিৎসকরা তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য ঢাকার আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠিয়ে দেন। ২৪ মার্চ টেস্ট রিপোর্ট আসলে সেখানে তার শরীরে করোনাভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে। মাদারীপুরের কালকিনিতে সন্দেহজনক করোনা রোগী ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে মাদারীপুরের কালকিনিতে এক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে ওই ছাত্রকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সে ঢাকা কলেজের চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের কানুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আল-বিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থী গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার মধ্যে করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা দেখা দেয়। পরে জরুরীভিত্তিতে তাকে ভোরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নমুনা পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ডাঃ সানাউল্লাহ।
×