ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরীক্ষায় জনসন

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বের পরীক্ষায় জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে পরীক্ষায় ফেলতে যাচ্ছেন। কারণ হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে দেশটির পঞ্চম প্রজন্মের ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কগুলোতে ভূমিকা রাখতে দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন জনসন। স্ট্রেইট টাইমস। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তার ৪৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে। জনসন প্রত্যাশা করছেন যে আগামী কয়েক বছরের জন্য তার প্রধানমন্ত্রীর এবং ব্রিটেনকে নতুন রূপ দিতে পারে এমন একাধিক সমালোচিত অবকাঠামোগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাকে। ভবিষ্যতে এই নেটওয়ার্ক ট্রাম্পের গুপ্তচরবৃত্তিকে দুর্বল করে তুলতে পারে এমন উদ্বেগ নিয়ে চীনের কোম্পানিটিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান সত্ত্বেও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হুয়াওয়েকে ফাইভজি বিকাশের ক্ষেত্রে ভূমিকা নেয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য প্রস্তুত। হুয়াওয়ে সর্বদা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান অস্বীকার করে আসছে। মঙ্গলবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ঘোষণা আসতে পারে। হুয়াওয়ের সিদ্ধান্ত জনসনের পক্ষে বিপজ্জনক। যদি তিনি এই সংস্থাটিকে নিষিদ্ধ করেন তাহলে যুক্তরাজ্যকে প্রযুক্তির সঙ্গে সজ্জিত করতে ব্যর্থতার ঝুঁকি নিবেন তিনি। কারন হুয়াওয়ের মাধ্যমে দেশটিতে অতি দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি তার যে প্রতিশ্রুতি ছিল সেটির বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। জনসন যদি হুয়াওয়েকে এগিয়ে যেতে দেন তবে তিনি ব্রিটেনের নিকটতম মিত্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার সময় মার্কিন গেয়েন্দা সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষতির মুখোমুখি এবং হোয়াইট হাউস থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখবেন। চীনা কোম্পানিকে ফাইভজি নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্যকে প্ররোচিত করার চেষ্টার কয়েক সপ্তাহ পর শুক্রবার ট্রাম্প ও জনসন হুয়াওয়ের বিষয়ে এক ফোনকলে আলোচনা করেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল পম্পেও চলতি সপ্তাহে ব্রিটেন সফরের আগে মার্কিন কর্মকর্তাদের জনসাধারণের সতর্কবাণীতে তার কণ্ঠস্বর যুক্ত করেছেন। তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘ফাইভজি নিয়ে যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত রয়েছে। ব্রিটিশ রক্ষণশীল আইনপ্রণেতা টম তিউজেনহাটের এই মতামতকে সমর্থন করে বলেছিলেন যে ‘শুধু তাদের দেশগুলোর ডেটা রক্ষা করতে সক্ষম দেশগুলোই সার্বভৌম হবে।’ ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অনুসারে, জনসন একটি বিকল্প বিবেচনা করছে যা চীনা কোম্পানির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা এড়াতে হুয়াওয়ের ওপর একটি শেয়ার ক্যাপ চাপিয়ে দিচ্ছে। রবিবার ব্রেক্সিট সেক্রেটারি স্টিফেন বার্কলে বলেছিলেন, হুয়াওয়ের বিষয়ে উত্তেজনা সত্ত্বেও তিনি আত্মবিশ্বাসী যে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র ব্রেক্সিট-পরবর্তী একটি বাণিজ্য চুক্তি করবে। ৩১ জানুয়ারি আঞ্চলিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য।
×