ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তাপন করা হবে : ইয়াং হি লি

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২০ জানুয়ারি ২০২০

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তাপন করা হবে : ইয়াং হি লি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ মিয়ানমারের জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়, এই বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তাপন করা হবে। এসময় রোহিঙ্গারা বলেছেন নাগরিকত্ব না পেলে তারা মিয়ানমারে ফেরত যাবেনা। সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক ও মত বিনিময় করেন ইয়াং হি লি। রোহিঙ্গারা দশ দফা দাবি উত্তাপন করে বলেন, মিয়ানমার সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের উপর রাখাইন রাজ্যে জুলুম, অত্যচার, নিপিড়ন, ধর্ষন, গুম হত্যা করেছে তা বর্বরোচিত। এঅবস্থাতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত গেলে শান্তিতে বসাবাস করতে পারবে না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব দিলে সব রোহিঙ্গা এক সঙ্গে দেশে ফেরত যাবে। এর জবাবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেছেন, মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়, এই বিষয়ে জাতিসংঘে উত্তাপন করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি মিয়ানমারের জেলখানা থেকে আড়াই বছর কারা ভোগ করার পর ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা আব্দুল আজিজ, নুর মোহাম্মদ, আব্দুর রহিম, বশির আহমদ, মোহাম্মদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন এবং মিয়ানমারের পরিস্থির কথা জানতে চান। উখিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, কুতুপালং ১৭ ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ ওবাইদুল্লাহ’র কার্যালয়ে সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ৪০ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষের সঙ্গে কথা বলেন। রোহিঙ্গারা দাবি দাওয়া উত্তাপন করেন। সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় সড়ক পথে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে পৌছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি। বৈঠক শেষে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করেছেন। এর আগে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন। এর আগে রবিবার সকালে ইয়াং হি লি কক্সবাজারে এসে পৌঁছেছেন। তিনি সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। এ সময় রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। এ ছাড়া তিনি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সফরকালে জাতিসংঘের এ বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ছাড়াও সীমান্ত পরিস্থিতি এবং মিয়ানমারকে পর্যবেক্ষণ করবেন। ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছিলেন ইয়াং হি লি। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং হি লি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় সরকারী বেসরকারী কর্তকর্তাগণ তার সঙ্গে ছিলেন।
×