ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে শুক্রবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। জুমার নামাজের পর বিক্ষোভের সময় নির্ধারণ করা থাকলেও শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকেই বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ব্যাঙ্গালুরুর গান্ধী কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সামনে জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত সকলে সিএএ ও এনআরসিবিরোধী সেøাগান দেয়।
ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি সরকার এই আইন পাসের পর টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। এদিকে বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ব্যাঙ্গালুরু সফর সংক্ষিপ্ত করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার কর্নাটক যান মোদি। তবে এ বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। মোদি সরকার মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মের লোকদের নাগরিকত্ব দেয়ার বিধান রেখে ক্যাব পাস করালে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দমাতে ওইসব রাজ্যে সেনা দিয়ে মুড়ে ফেলে মোদি সরকার। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েকজন নিহত হয়। বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও কানাডাসহ অন্যান্য দেশ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার নির্ধারিত সফর বাতিল করেন। বিরোধীদলগুলো রাস্তায় অবস্থান নেয়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করছে, এই ধরনের বিতর্কিত বিলের মাধ্যমে ভারত তার দীর্ঘদিনের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি খোয়াতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রখ্যাত অর্থনীতি গবেষণা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান টিএস লোম্বার্ডের গবেষক অমিতাভ দুবে বলেন, চলমান আন্দোলনের জন্য ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে চড়া মাসুল গুনতে হবে। তিনি বলেন, মোদি সরকার ক্ষমতায় ফিরতে বিজেপি কর্মীদের এই ধরনের স্বপ্নই দেখিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি ভারতের অর্থনৈতিক ভগ্নদশা কাটানোর কথাও বলেছিলেন। কিন্তু মোদি এখন অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে তার সমর্থকদের খুশি করতে বেশি ব্যস্ত হয়েছেন। আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, বিজেপি সরকার অর্থনৈতিক অবস্থা ফেরানোর চেয়ে বিভেদের রাজনীতি করতে বেশি উদ্যোগী হয়েছে। -এনডিটিভি