ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘স্যার আবেদ এত যশ পেয়েও ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী’

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

 ‘স্যার আবেদ এত যশ পেয়েও ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী’

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুলশানের আজাদ মসজিদে শুক্রবার বাদ আছর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাছ্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, আইনবিদ ড. কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহ, শিল্পপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, জাফর সোবহানসহ মরহুমের আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। -খবর বাসসর। স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মৃতিচারণ করে উপস্থিত সুধীজনের পক্ষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ফজলে হাসান আবেদ দেশে-বিদেশে এত যশ, সম্মান, স্বীকৃতি-পুরস্কার পেয়েও অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। তার বড় অবদান হচ্ছে- একটি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান চালু করার পর সেটাকে এগিয়ে নিতে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। তার গড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জনকল্যাণে নিবেদিত।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার প্রয়াণ বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। অবহেলিত মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী তার যে অবদান, তাই তাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।’ পরিবারের পক্ষে মরহুমের জামাতা ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘স্যার ফজলে সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। পরিবারের সদস্য বা সহকর্মী সকলের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, ব্যক্তিসমস্যাকেও তিনি গুরুত্ব দিতেন, সমাধানের চেষ্টা করতেন। আজীবন তিনি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছেন।’ প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উন্নয়নব্যক্তিত্ব স্যার ফজলে হাসান আবেদ ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২২ ডিসেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও জানাজার পর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
×