নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ নবেম্বর ॥ দীর্ঘ ১৪ বছর পর নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে চলেছে। ১১ ডিসেম্বর সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়েছে। ‘বিতর্কিত কোন ব্যক্তি দলের নেতৃস্থানীয় কোন পদে থাকতে পারবে না’, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশের পর সারাদেশের মতো নওগাঁতেও নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। জেলা এবং উপজেলা কমিটিগুলোতে একদিকে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা, অন্যদিকে বিতর্কিত, হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, লুটেরাসহ সুবিধাবাদীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে। তবে বিতর্কিতদের মদদদাতা কিছু সুবিধাবাদী প্রভাবশালী নেতা ওইসব বিতর্কিতদের দলের নেতৃত্বে রাখতে উঠেপড়ে লেগেছে। তবে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোনভাবেই তাদের নেতৃত্বে দেখতে চায় না। তারা বিতর্কিত নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দেশ ও জাতির সেবা করতে চায় তারা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, এই উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সরদার মোঃ জসিম উদ্দিন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে কোন সম্মেলন হতে দেননি। তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি পদে থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ গড়ে তোলার সুযোগ হাতছাড়া না করতে তাদের অনীহার কারণেই ১৪ বছরেও কমিটি গঠন হয়নি। বরং দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বিধা-বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মোল্লা এমদাদুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, স্থানীয় এমপির অনীহার কারণেই এখানে যথাসময়ে দলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: