ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দুষ্টচক্র ভাঙতে বিকল্প ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

 দুষ্টচক্র ভাঙতে বিকল্প ব্যবস্থা

প্রতি বছরই সুযোগ বুঝে এক শ্রেণীর অসাধু সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সংরক্ষণ ও সুষম বন্টনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা না থাকাটাই পরোক্ষভাবে দায়ী! এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তিপেতে চাই ‘প্রান্তিক বিতান।’ যা স্থাপন হবে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে। একটি আধুনিক সংরক্ষণযোগ্য খাদ্য গুদাম তৈরি করতে হবে। যার সঙ্গে বিক্রয়কেন্দ্র ‘প্রান্তিক বিতানে’ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য থাকবে। মৌসুমে স্থানীয় কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ফসল সংগ্রহ এবং প্রয়োজনে আমদানিকৃত পণ্য এখানে সংরক্ষণ ও পরবর্তীতে বিক্রয় হবে। জাতীয় আইডি কার্ডের নম্বরে এক কার্ডের মাধ্যমে পরিবারের সর্বোচ্চ পাঁচজন পোষ্য ধরে একটি রেশন কার্ড করতে হবে। প্রকৃত বাজারমূল্যে এবং বিশেষ সময়ে সরকার ভর্তুকি দিয়ে এখানে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় হবে। প্রতিটি কার্ডধারি প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য অর্থের বিনিময়ে সংগ্রহ করতে পারবে। সকলের জন্য ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থাকবে। এর সব কার্যক্রম সুপারশপের মতো ডিজিটাল অনলাইন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। একজন ব্যবস্থাপক বদলিযোগ্য স্থায়ীভাবে সরকার কর্তৃক নিয়োককৃত হবেন। বাকি বিক্রয়কর্মীরা (উচ্চমাধ্যমিক পাস) ন্যাশনাল সার্ভিসের মাধ্যমে (৩-৫) বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। তাদের অর্ধেক মজুরি মাস শেষে নগদ প্রদান এবং বাকি অর্ধেক পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে জমা থাকবে। প্রতিটি বিক্রয়কর্মীকে প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা হবে। যারা এলাকায় পরবর্তীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করবে। ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জিত হবে। মূলধন হিসেবে সঞ্চয়পত্রের টাকা এবং প্রয়োজনে সহজশর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। লাইসেন্সসহ যাবতীয় সুবিধা তাদের সরকারের পক্ষ থেকে দিতে হবে। এ উদ্যোক্তাগণ কখনোই জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করবে না। একদিন হতদরিদ্র কর্মসূচী এবং টিসিবির ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি সাধারণ জনগণের জন্য অসম্মানজনক বলে প্রতীয়মান হবে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় খাদ্যদ্রব্যের সুষম বণ্টন এবং সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্র ভাঙতে প্রতিটি ইউনিয়নে চালু করা হোক ‘প্রান্তিক বিতান।’ নরসিংদী থেকে
×