ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মহাদেবপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের পৃথক কাউন্সিল ॥ উত্তেজনা

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৪ নভেম্বর ২০১৯

মহাদেবপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের পৃথক কাউন্সিল ॥ উত্তেজনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ একইদিনে পৃথক ভাবে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় উপজেলার জুড়ে দলটির নেতাকর্মীর মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ কাউন্সিলকে ঘিরে দুটি গ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় সচেতন মহলের। জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রিয়াছাদ হায়দার টগরের নেত্রীত্বাধীন বিএনপির একটি অংশ আগামী ২৮ নবেম্বর (মঙ্গলবার) উপজেলা সদরের রোকেয়া কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে বিএনপির এ গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে এবং জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের পরামর্শে এ কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে দলটির স্থানীয় নেতা রবিউল আলম বুলেট জানান। উপজেলা বিএনপির অপর গ্রুপের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৩ নবেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর মহাদেবপুরস্থ বাসভবনে উপজেলা বিএনপির অপর গ্রুপের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকার আখতার হামিদ সিদ্দিকীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও গত ১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত এমপি প্রার্থী আরেফিন সিদ্দিকী জনি। জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পীকারের মহাদেবপুরস্থ বাসায় বিএনপির অপর গ্রুপের সভা থেকে ওই একইদিন (২৮ নবেম্বর ) পৃথক ভাবে এ বাসভবনের পার্শ¦বর্তী স্থানে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক সচেতন মহল ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী আশংকা করছেন, বিএনপির এ দুটি গ্রুপের নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে যে কোন সময় তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরতে পারে। আশংকার বিষয়টি আমলে নেয়ার সত্যতা স্বীকার করে নওগাঁর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান বিপিএম জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি জানান, এ কাউন্সিলকে ঘিরে কেউ যাতে আইন শৃংখলার বিঘ্ন ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থা সজাগ দৃষ্টি রেখেছে।
×