ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডাঃ মো. আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া

ঘরের শত্রু থেকে সাবধান

প্রকাশিত: ০৮:৩২, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

ঘরের শত্রু থেকে সাবধান

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ফিরলেন স্বাধীন বাংলাদেশে। তিনি এসেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। নিজের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আর বাধাপ্রাপ্ত হবেন না, এমনটাই মনে করেছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। অতি দ্রুত তিনি বাধার সম্মুখীন হলেন। সিরাজ শিকদার বাহিনী, সর্বহারা বাহিনী, গণবাহিনী এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ১৯৭২ সালের সরকারী দলও অন্তর্কলহমুক্ত ছিল না। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র তো ছিলই। খন্দকার মোশতাক দলের জন্মলগ্ন থেকেই অনুপ্রবেশকারী ঘাতক, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্টমন্ত্রী হেনরী কিসিঞ্জারের সঙ্গে নয়াদিল্লীতে বৈঠক করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিবর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কনফেডারেশনের প্রস্তাব দেন। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন অতি চতুর মোশতাক বঙ্গবন্ধুর বুকে মাথা রেখে লোক দেখানো কান্নাকাটি করেন, চোখের পানিতে তার অপকর্ম ভাসিয়ে দেন। ১৯৭২ সালে মোশতাককে অপসারণ করা হলে কারবালার প্রান্তরের চেয়েও নির্মম ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের বিয়োগান্তক ঘটনা এড়ানো যেত কিনা কে জানে! বর্তমান সরকার সারাদেশে যে উন্নয়ন করেছে তাতে স্বপ্রণোদিত হয়ে সাধারণ মানুষের শোকরিয়া মিছিল, আনন্দ মিছিল, স্বস্তির মিছিল করার কথা। কিন্তু তেমন দেখা যাচ্ছে না। গডফাদার লালিত সন্ত্রাসীদের অপকর্মের কারণেই হয়ত মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এ ধরনের কথা অনেকে বলেন। যারা বলেন তারাও ভেতরে ভেতরে গডফাদার। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিলে কখনও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় না। বরং জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। মাহাথির মোহাম্মদ নিজের ভাইকে জেলে দিয়েছিলেন। নিজ দলের এমপিদের বরখাস্ত করেছেন। এতে তার জনপ্রিয়তা আরও চিরস্থায়ী রূপ নিয়েছে। যার প্রতিফলন হিসেবে ৯২ বছর বয়সেও মালয়েশিয়ার জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। অপরাধীচক্র নির্মূল করতে ৯৫ ভাগ কাজ এখনও বাকি। বঙ্গবন্ধুকন্যাও বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারবেন চিরকালের জন্য। বঙ্গবন্ধুকন্যা নিশ্চয়ই শুনেছেন দলমত নির্বিশেষে সারাদেশের মানুষ বর্তমান অভিযানে কি পরিমাণ স্বস্তির নিশ^াস ফেলছে ও সাধুবাদ জানাচ্ছে। অভিযান শতভাগ সফল হলে ভোটের জন্য আর দলকে জনগণের কাছে হাত পাততে হবে না। উল্টো বাংলার জনগণই বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বারবার ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। অপার সম্ভাবনাময় এ দেশের রোগটা কি? অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, কিছুসংখ্যক প্রভাবশালী নেতা (গডফাদার), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশ, আদালতপাড়ার একাংশ এবং মিডিয়া জগতের একাংশকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অর্থাৎ চতুর্ভুজী মেকানিজমে তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করে আসছে। ওই চতুর্ভুজী মেকানিজমেই অপরাধ সাম্রাজ্য টিকে থাকে ও সম্প্রসারিত হয়। ওই চক্র তৃণমূল ইউনিয়ন থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চক্রে জড়িতদের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র কিয়দংশ। কিন্তু এরা সায়ানাইডের চেয়েও ভয়ঙ্কর পয়জন। বঙ্গবন্ধুকন্যা সাহসিকতার সঙ্গে অপরাধের চতুর্ভুজী চক্রের নাট-বল্টু ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযান ব্যাপকভাবে পরিচালিত করতে হবে, কেননা অপরাধ দেশব্যাপী বিস্তৃত। রাষ্ট্র কখনও পরাজিত হয় না। তাই তো আকাশচুম্বী ক্ষমতাধর ও প্রচন্ড প্রতাপশালী অপরাধীদের হাতেও এখন হাতকড়া শোভা পাচ্ছে। পদবি দিয়ে সন্ত্রাসীদের দলে ভিড়ানো হয়েছে। অথচ ম্যানহোলের ঢাকনা চোর ও ছিনতাইকারী পাগলা মিজান (ফ্রিডম পার্টি থেকে আওয়ামী লীগ), যিনি মোহাম্মদপুর এলাকার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বসেছেন, এ সরকারের আমলেই শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, যার টেক্সাসে বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে, সেই গংদের অপরাধরাজ্যের কর্মকা- সরকারকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। গডফাদাররা লুটপাটের উচ্ছিষ্টেই সন্তুষ্ট থাকেন এবং সন্ত্রাসীদের রক্ষা করেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য পদ-পদবি ধারণের প্রয়োজন নেই। দরকার খাঁটি দেশপ্রেম। কেননা পদ ব্যবহার করে ব্যক্তি কল্যাণ এখন রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে শত শত দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন দেশকে স্বাধীন করার জন্য। তারা তো পদ-পদবির পেছনে ছোটেননি। আমাদের বীরশ্রেষ্ঠরা তো কোন দল করেননি। ভাষাসৈনিকরা তো পদ-পদবি ধারণ করে প্রাণ দেননি। গডফাদাররা সন্ত্রাসীদের পদ-পদবি দিয়ে দলে ঢুকিয়েছেন। এখন আবার বরখাস্ত করছেন। ধরা না পড়লে টাকার মেশিনদের কি বরখাস্ত করা হতো? এই গডফাদারদের রাজাকারের বাংলাদেশী সংস্করণ বললে কি ভুল হবে? পাকি সংস্করণ রাজাকাররা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। আর বাংলাদেশী সংস্করণ রাজাকাররা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের অপসারণ করতে হবে। চলমান অভিযানের সফলতার ওপরই নির্ভর করছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন। ১৯৭২-এর পর বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণীভিত্তিক ‘লীগ’ কমিটি গঠনের মহামারী লেগে যায়। প্রতিযোগিতা এমন অবস্থায় দাঁড়ায় যে, কমিটি গঠন কোথায় বাকি আছে সেসব পেশা ও শ্রেণী খুঁজে খুঁজে সেখানে কমিটি দাঁড় করিয়ে নেতা হওয়ার খায়েশ মিটানো হয়। এভাবে হাজার হাজার নেতা তৈরি হয়। নেতাদের প্রতিটি পদই যে লাভজনক! রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য জনকল্যাণ। কিন্তু তৎপরিবর্তে ব্যক্তি কল্যাণের মহোৎসবে মেতে ওঠেন প্রায় সবাই। নেতারা যদি দলীয় আদর্শ বাস্তবায়নের খায়েশ (যদি থাকে) মেটাতেন তাহলে লুটপাট, খুনোখুনি কিছুই ঘটত না। একই আদর্শের সৈনিক একজন আরেকজনকে খুন করতে পারে না। এসব ঘটে স্বার্থের ও অর্থের দ্বন্দ্বে। বাহারি ভিজিটিং কার্ড বিভিন্ন দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে দিয়ে অমুক ভাই তমুক ভাই সালাম দিয়েছেন এসব চলেছে। সালাম দিলে মানুষ খুশি হয়; কিন্তু এদের সালামে জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। ১৯৪৮-১৯৭১ সাল পর্যন্ত বর্তমান সরকারী দলে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা ছিল। অঙ্গ সংগঠনের ছড়াছড়িতে সেটা নষ্ট হয়েছে। ইউরোপ, এমনকি প্রতিবেশী ভারতেও শ্রেণী ও পেশাভিত্তিক অঙ্গ সংগঠন নেই। ১৯৭২-১৯৭৪ সময়কালে স্বাধীনতাবিরোধীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে তখন সরকারী দলে ঢুকেছে। সরকারের ভেতরে অবস্থান নিয়ে তারা মিলকারখানায় আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে। এখনও সেরকমটা ঘটছে। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া (বিএনপি থেকে যুবলীগে) গংরা মাদক ব্যবসার আগুন দিয়ে দেশের ভবিষ্যত মেরুদন্ড যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তার আশ্রয়দাতা সরকারদলীয় গডফাদার। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাকারী চার্জশিটভুক্ত আসামি পাগলা মিজানকে (ফ্রিডম পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে) দীর্ঘ (২০০৯-২০১৯) ১১ বছর আইন-আদালত ও থানা পুলিশ কেউ স্পর্শ করতে পারেনি। গডফাদারদের শীতল ছত্রছায়ায় তিনি ইনডেমনিটিপ্রাপ্ত হয়ে নিরাপদে ছিলেন। অথচ এই প্রভাবশালী গডফাদাররাই তাদের নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রক্ত কিডনি কলিজা দেয়ার কথা বলেন। এই হিপোক্র্যাটদের জন্যই বঙ্গবন্ধুর সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়েছিল। ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর স্নেহ করেছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মোর্শেদ ওরফে গোলামকে ১৯৯৯ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন তৎকালীন ভিন্নমতাবলম্বী ট্রাক ড্রাইভার আজিজুল আলম বেন্টু চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই বেন্টু এখন রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমান সরকারের আমলেই সে অর্থের পাহাড় গড়েছে। বেন্টুর যাবজ্জীবন জেলও হয়েছিল। কিন্তু গডফাদারদের কারসাজিতে ইনডেমনিটিপ্রাপ্ত হয়ে নিরাপদে আছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের ভাগ্নে ইলিয়াস নোমান গফরগাঁওয়ের যশোরা ইউনিয়নে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী যুবক হিসেবে খ্যাত। তিনি ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যও। কয়েকজন মাদক কারবারিকে ধরে পুলিশে দেয়ায় গফরগাঁওয়ের যশোরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম সুমন ও তার ক্যাডার বাহিনী চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ইলিয়াস নোমানের বাম হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এখানেও গডফাদার দৌরাত্ম্য। তৃণমূল ইউনিয়ন থেকে রাজধানী পর্যন্ত কি পরিমাণ নেতৃত্ব হাইব্রিডদের করায়ত্তে চলে গেছে তা দেশের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে আবিষ্কার করা এবং তাদের নেতৃত্ব থেকে উচ্ছেদ করা জরুরী। দলের ত্যাগী কর্মীরা দলের অমূল্য সম্পদ এবং দলের ভিত ও মেরুদ-। অথচ গডফাদারদের আশীর্বাদে হাইব্রিডরা দলের ত্যাগী কর্মীদের হত্যা করে, পঙ্গু করে দলের ভিত ও মেরুদ-কে দুর্বল করে দিচ্ছে। ২০০৯-২০১৯ সময়কালে যেসব সন্ত্রাসী সরকারী দলে ঢুকেছে তাদের উদ্দেশ্যই ছিল লুটপাট। শুদ্ধি অভিযান কতটা সম্প্রসারণ করা হবে সে উত্তর ভবিষ্যতই দেবে। তবে ধৃত অপরাধীরা সবাই ভয়ঙ্কর। এরা যদি টিকে যায়, কোন উছিলায় যদি কখনও বেরিয়ে আসে তাহলে এরা মিসাইল হিসেবে আবির্ভূত হবে, এটা মনে রাখতে হবে। মাদকের বাহককে নির্মূল করে লাভ হবে না। পর মুহূর্তেই বিকল্প বাহক তৈরি হবে। যারা মাদকের আমদানিকারক ও আড়তদার, যারা মাদক ব্যবসার প্রশ্রয়দানকারী তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কোন মাদক সম্রাট বা সম্রাজ্ঞীর পবিত্র সংসদে প্রবেশ মানুষ পছন্দ করবে না। মাহাথির মোহাম্মদ ১৯৮১ থেকে ২০০৩ (মোট ২২ বছর) একটানা মালয়েশিয়া শাসন করেছেন এবং দেশকে জিরো থেকে হিরো বানিয়েছেন। মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯২৩ সাল থেকে মৃত্যু অবধি ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওই সময়কালে (মাত্র ১৫ বছর) তুরস্ককে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেন। আর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী একটানা ১১ বছর বাংলাদেশ শাসন করে চলেছেন। এ সময়কালে উন্নয়নের ট্রেন গন্তব্যস্থলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারত। কিন্তু দূরত্ব এখনও বেশ বাকি। এর জন্য চেইন টানাই দায়ী। গডফাদারদের উন্নয়নের ট্রেন থেকে নামিয়ে দিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর সময় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল চাটার দল। এখন চাটার দলের ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। এখন ক্যাসিনো দল, ইয়াবা দল, মাদক দল, দফতরি হতে দফতর সম্পাদক দল, অনুপ্রবেশকারী দল, দলীয় পদবি বাণিজ্যকারী দল, লুটপাটের টাকা লুকানোর জন্য বাসাবাড়িতে ব্যাংকের ভোল্ট স্থাপনকারী দল ইত্যাদি নামে নতুন নতুন দল গজিয়েছে এবং গজাচ্ছে। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও লোমহর্ষক হলো ‘গডফাদার দল’। এরা চিহ্নিত, এদের সবাই চেনে এবং জানে। শুধু প্রয়োজন ব্যতিক্রমধর্মী সাহসী পদক্ষেপ, যা দেশের ইতিহাসে জায়গা করে নেবে। লেখক : অধ্যাপক, ব্রিগে. জেনা. (অব.), সাবেক পরিচালক, প্রশাসন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×