
ছাদে, বারান্দায় যারা একটু আধটু শখের কৃষি করেন। তারা চান শতভাগ জৈব উপায়ে চাষ করতে। রাসায়নিক সার, কীটনাশক পরিহার করতে চান। এমন মানুষের জন্য কিছু জৈব টোটকা দেয়া হলো-
১০০ গ্রাম চিনা বাদাম এবং ১০০ গ্রাম কালো সরিষা একদিন ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পেস্ট করে এক লিটার পানিতে থাকবে ১০ দিন। ১০ দিন পর আরো তিন লিটার পানি মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিন। গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ঝিমিয়ে পড়লে জেগে উঠবে।
পটাশ গাছকে শক্ত পোক্ত করে। ফল, ফুল ঝরে যাওয়া রোধ করে। কলার ছোলা ভিজিয়ে সে পানি দিতে পারেন। এতে পটাশ আছে। আবার কলার ছোলা শুকিয়ে গুঁড়া করে মাটিতে দেয়া যায়।
নাইট্রোজেন গাছের জন্য অত্যন্ত দরকারি। চা খাওয়ার পর যে চা পাতার গুঁড়া থাকে তা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর অল্প করে গাছের মাটিতে দিন। চা পাতায় নাইট্রোজেন আছে।
ঠান্ডা পানি অনেক পোকাই সহ্য করতে পারে না। তাই গাছের পাতা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে পারেন। এতে পাতায় ধুলো থাকলে পরিষ্কার হবে। যেটা গাছের জন্য উত্তম।
অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গাছের গোড়ার মাটি শুকিয়ে যায়। পানি কম দিলে, মাটিতে আর্দ্র্রতা না থাকলে গাছ নেতিয়ে পড়ে। গাছের পড়ে যাওয়া শুকনো পাতা গাছের গোড়ায় দিন। মালচিং এর কাজ করবে। মাটিতে কিছু কোকোপিট দিলে আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
বিভিন্ন সময় গাছের পাতায় ছত্রাক আক্রামণ করে। এ জন্য ২ গ্রাম গুঁড়া হলুদ এক লিটার পানিতে গুলে স্প্রে করা যেতে পারে।
টমেটোর নিচের দিকটা অনেক সময় পচে যায়। এটা মূলত ক্যালসিয়ামের অভাবে হয়। এজন্য পান খাবার অল্প একটু চুন পানিতে গুলে গাছের মাটিতে দিলে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হবে।
প্যানেল