ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৩১ ব্যাংকের ঋণের সুদহার দুই অঙ্কের ওপরে

প্রকাশিত: ০৮:০০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

৩১ ব্যাংকের ঋণের সুদহার দুই অঙ্কের ওপরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিনিয়োগ স্থবিরতা। ধারাবাহিকভাবে কমছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি। উচ্চ সুদহার যার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা। সুদহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কঠোর হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। নেয়া হচ্ছে নানা পদক্ষেপ। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো বেড়েই চলছে ঋণের সুদহার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, দেশের ৫৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে গত জুলাই শেষে ৩১ ব্যাংকের ঋণের সুদহার দুই অঙ্কের ওপরে রয়েছে। বাকি অধিকাংশ ব্যাংকেই দুই অঙ্ক ছুঁইছুঁই। তবে একক ঋণ হিসেবে ক্ষেত্র বিশেষে কোনো কোনো ব্যাংকের সুদহার সর্বোচ্চ ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ আদায় করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুদহার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যাংক মালিকরা। অন্যদিকে নানা সুযোগ-সুবিধাও নিয়েছে ব্যাংকগুলো। তবে এক বছরেও সুদহারের সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে চলমান ব্যাংকের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ছয়-নয় অর্থাৎ আমানত সংগ্রহের সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ এবং ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ওই সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক ব্যবসার অনুমোদন যারা দেয় তারা বাতিলও করতে পারে। সুতরাং সুদহার বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ মুহূর্তে সরকারিসহ মোট ১৬টি ব্যাংক ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়ন করেছে। আস্তে আস্তে সব ব্যাংকই সিঙ্গেল ডিজিটে চলে আসবে। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলেও সুদহার কমাতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে গত ২০ মে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ একটি সার্কুলার জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেসব ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনতে পারবে না, ওইসব ব্যাংকে সরকারি আমানত রাখা হবে না।
×