
সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ বছরব্যাপী উদ্যাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভুক্ত শিল্পীদের বাছাই চলছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী জানিয়েছেন চূড়ান্তভাবে তলিকাভুক্ত শিল্পীরা সারাদেশে বছরব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। একাডেমির বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হওয়া ৯২০ সঙ্গীতশিল্পী থেকে পর্যায়ক্রমে ১০০ শিল্পী বাছাই করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ আগস্ট বিকেল ৩টায় শিল্পী বাছাইয়ের এই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব বদরুল আনম ভূঁইয়া, সঙ্গীত পরিচালক চন্দন দত্ত, প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জাকির হোসেন ও ইনস্ট্রাক্টর মোনালিন আজাদ।
‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনী : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকের প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবনভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকটি গ্রন্থনা, পরিকল্পনা, সুর সংযোজনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন লিয়াকত আলী লাকী। মাসব্যাপী দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। পর্যায়ক্রমে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ঝিনাইদহ, গাজীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২০টি স্থানে এটি প্রদর্শিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর মহান সংগ্রামী জীবনভিত্তিক ঐতিহাসিক নাট্যাখ্যান ‘মুজিব মানে মুক্তি’। আবহমান বাংলার হাজার বছরের ইতিহাস, সংস্কৃতি, শোষণ-বঞ্চনা, দ্রোহ ও মুক্তির স্বপ্ন বিনির্মাণ এই নাটকের মূল উপপাদ্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, তেইশ বছরের পাকিস্তানী অপশাসন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরে দেশ গঠন এবং তার মহাপ্রয়াণ এই নাটকের উপাত্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, সংগ্রাম ও মহাপ্রয়াণভিত্তিক রাজনৈতিক আলেখ্য ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ধারাবাহিক ইতিহাসের সাথে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কৈশোর, যৌবন, মহান সংগ্রামী জীবন ও মহাপ্রয়াণ ক্রমান্বয়ে সন্নিবেশিত হয়েছে। পাক-হানাদারদের সহযোগী যুদ্ধাপরাধীদের হিংস্র চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে নাটকটিতে। তাই ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটকটি ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে রচিত বিশেষ প্রযোজনা। নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকি বলেন, ইতিহাস নির্ভর নাট্য নির্মাণ চিরকালই কঠিন কাজ। আর একজন মহাপুরুষের সংগ্রামী জীবন নিয়ে শিল্প নির্মাণ আরও কঠিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন, রাজনৈতিক দর্শন, স্বপ্ন ও সংগ্রাম, তাঁর বিভিন্ন সময়ের বক্তৃতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ হয়েছে।
কর্মের ভেতর দিয়ে তার দেশপ্রেম, একটি জাতির মুক্তির পথ নির্মাণ এবং বাংলা নামে দেশ স্থাপন সঙ্গীত, কোরিওগ্রাফ ও কবিতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। ফিজিক্যাল থিয়েটারের উপাদান এবং বিভিন্ন ইমেজ ব্যবহার করতে হয়েছে ইতিহাস এবং মহামানবের জীবন, স্বপ্ন ও সংগ্রামের ছবি আঁকতে গিয়ে। ইতিহাসের শিল্পিত উপস্থাপন ও জাতির পিতার একটি জাতি ও দেশ নির্মাণ ও তাঁর মহাপ্রয়াণে নিরীক্ষাধর্মী শিল্প শৈলী, নানা ইমেজ ও কোরিওগ্রাফের ভেতর দিয়ে উপস্থাপনই এই প্রযোজনার মূল কর্ম। ইতিহাসের সত্যের চেয়ে শিল্পের সত্য অনেক বেশি শক্তিশালী। একটি আবেগ আশ্রিত কাব্যিক শিল্প উপস্থাপন ‘মুজিব মানে মুক্তি’।