ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাক্ষাতের খবর অস্বীকার উভয় নেতার

ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে কর্মকর্তাদের সাক্ষাত

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ২৬ আগস্ট ২০১৯

 ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে কর্মকর্তাদের সাক্ষাত

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার একটি দল কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করেছেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার পর থেকে এই দুই মুখ্যমন্ত্রী আটক রয়েছেন। দলটি এই দুই নেতার সঙ্গে দেখা করে উপত্যকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাদের সহায়তা কামনা করেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দলটি দুদিন করে কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করে তাদের ছাড়া পাওয়ার পর উপত্যকায় শান্তি বজায় রাখতে ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানায়। তবে এই বৈঠকের খবর আনুষ্ঠানিকভাবে কোন পক্ষই স্বীকার করেনি। ওমর আব্দুল্লাহর রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) বৈঠকের এই খবরকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এই খবরের কোন ভিত্তি নেই। তবে মেহবুবা মুফতির রাজনৈতিক দল পিডিপি সূত্র বলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রতিনিধি দল ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করে উপত্যকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় উভয়ের সহায়তা চেয়েছেন। তবে উভয় নেতা কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ফের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে। ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি গত ৫ আগস্ট থেকে আটক রয়েছেন। ওমর আব্দুল্লাহকে হরি নিবাস প্রাসাদ ও মেহবুবা মুফতিকে চশমা শাহী প্রসাদে আটক রাখা হয়েছে। ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি উভয়ই জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা করে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করে আসছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি সরব হতে পারেন- এই আশঙ্কায় তাদের আটক রাখা হয়েছে। ছাড়া পেয়ে তারা কোন সমাবেশ অথবা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবেন না- এই শর্তে তাদের মুক্তির প্রস্তাব দিতে পারে মোদি সরকার। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মজিদ হায়দারি বলেন, ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে ছাড়লে বিক্ষোভ হবে না এমন সম্ভাবনা কম। সেখানকার জনগণ এখন মূলধারার রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এখন ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে ছাড়লে উপত্যকার মানুষ তাদের কথা মানবে বলে-আমি মনে করি না। কারণ তারা উভয়ই বিজেপির সহায়তায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল বলে মানুষ মনে করে। শনিবার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে ছেড়ে দিয়ে তাদের বৈঠকের অনুমতি দেয়। তাদের ডাল লেকের পাড়ের হোটেলে আটক রাখা হয়েছিল। ওদিকে কাশ্মীরের নেতারা বলেছেন, মোদি সরকারের কাশ্মীর অবরুদ্ধ করে রাখার ধরনের সিদ্ধান্ত করুণ পরিণতি ডেকে আনবে। পরিণতিতে ভারত থেকে কাশ্মীরের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে।
×