ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পৃথিবীর পথে পথে

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ২৩ আগস্ট ২০১৯

পৃথিবীর পথে পথে

একজন মরণোত্তর নায়ক ক্যাপ্টেন ফার্দিনান্দ মাগেলান ১৫১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ‘স্প্যানিশ মুকুট’ নামে স্প্যানিশ বন্দর সানলকার থেকে ভিক্টোরিয়া জাহাজ নিয়ে দুই বছর ১১ মাস দুই সপ্তাহ ধরে যাত্রা করেছিলেন। ১৫২২ সালে ফিরে আসার জন্য মাগেলান এবং তার ২৪৪ জন নাবিকের মধ্যে বেশিরভাগই টিকে থাকতে না পারলেও এই পরিভ্রমণের জন্য পথিকৃৎ হয়ে আছেন। কালযুগের আবিষ্কার মাগেলানের মিশন : দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপের আশপাশের বিপজ্জনক সমুদ্রপথের বিকল্প হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার স্পাইস দ্বীপপুঞ্জের পশ্চিমে একটি পথ সন্ধান করেন মাগেলান। দক্ষিণ অ্যামেরিকার দক্ষিণাঞ্চলে তিনি একটি প্রণালী আবিষ্কার করেছিলেন, যা ছিল আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর যাওয়ার পথ, জাহাজগুলো এখনো সেই পথে চলে। ৮০ দিনে বিশ্ব পরিভ্রমণ ফরাসি লেখক জুল ভার্ন তাঁর ৮০ দিনে বিশ্ব পরিভ্রমণ উপন্যাসে অদ্ভুত স্বভাবের ফিলিয়াস ফোগকে বিশ্ব প্রদক্ষিণের প্রতিযোগিতায় পাঠান। এখন পালতোলা নৌকায় করে পৃথিবী পরিভ্রমণের প্রতিযোগিতায় জিতে পাওয়া যায় জুল ভার্ন ট্রফি। সব থেকে কঠিন প্রতিযোগিতা বিশ্বের সেরা নাবিকরা ১৯৮৯ সাল থেকে অনিচ্ছাকৃত নন-স্টপ ইয়ট রেসে অংশ নিচ্ছেন। প্রতি চার বছর পর পর এটি ফ্রান্সের আটলান্টিক উপকূলে লেস সাবেল-ডি’অলোনে শুরু ও শেষ হয়। এর রুট দক্ষিণ মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় জয়ীরা নিজেকে নায়ক ভেবে উদযাপন করেন। এখন পর্যন্ত কোন নারী এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হননি। বিশ্বের দ্রুততম নারী ব্রিটিশ নাবিক এলেন ম্যাকআর্থার ‘ভেন্ডি গ্লোবে’ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন, যদিও তিনি আশা করেছিলেন অন্য সবার চেয়ে কম সময়ে এটা করবেন। ২০০৪ সালের ২৮ নবেম্বর তিনি তাঁর ২২ দশমিক নয় মিটার ট্রাইমারান বিএ্যান্ডকিউতে যাত্রা করেন এবং ৭১ দিন ১৪ ঘণ্টা ৪৩ সেকেন্ডে একাকী নৌকাযোগে বিশ্ব প্রদক্ষিণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। তিনি তিন বছর বিশ্বের দ্রুততম ইয়ট নারীর অবস্থান ধরে রাখেন। সৌরচালিত নৌকায় বিশ্ব পরিভ্রমণ নৌকায় করে বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে গিয়ে এমন কিছু মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন, যারা সীমাবদ্ধতাগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে চেয়েছেন। ‘তারানর প্ল্যানেটসোলার’ নৌকাটি হলো সুইস, জার্মান ও নিউজিল্যান্ডের যৌথ সহযোগিতার ফল। ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে পুরো সৌরশক্তিচালিত এই নৌকাটি ৫৮৫ দিনে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে বন্দরে ফিরে আসে। এর ছাদ ৩৮ হাজার ফটোভোলটাইক সেল নিয়ে গঠিত। সৌরশক্তি নিয়ে আকাশে সুইস মনোবিজ্ঞানী ও বেলুনারোহী বার্ট্রান্ড পিকার্ড সৌরশক্তিচালিত বিমান নিয়ে আসেন, যাতে করে তিনি ২০১৫ সালের মার্চে পরিভ্রমণ শুরু করেন এবং এটি ২০১৬ সালের জুলাইয়ে আবুধাবিতে গিয়ে শেষ হয়। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
×