ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এলে দেশের সব অর্জন নষ্ট হবে

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২২ আগস্ট ২০১৯

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এলে দেশের সব অর্জন নষ্ট হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এলে দেশের সব অর্জন বিনষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে তরুণ প্রজন্মের কাছে স্পষ্ট ভাষায় ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধুর চেতনার আদর্শে গড়া বাংলাদেশ সহজে শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছাড়া চলবেও না। জামায়াত-বিএনপি যেভাবে তৎপর তাতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব মন্তব্য করেন। বুধবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী এবং ২১ আগস্টের হত্যাকা-ের পঞ্চদশবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে তারা বলেন, আদর্শিক চর্চা বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে হবে। ২১ আগস্টের প্রসঙ্গ এলেই তারেকের কথা বলতে হবে, ১৫ আগস্টের কথা এলে জিয়ার কথা বলতে হবে। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ আত্মত্যাগ করেছিলেন; এটা তো হেলাফেলা কথা নয়। শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, আসিফ মুনীর তন্ময়, কবীর চৌধুরী তন্ময় ও মারুফ রসুল। সঞ্চালনা করেন নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থপন করেন নির্মূল কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগ সেলের সদস্য সচিব তপন পালিত। অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবির বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিস্ময়কর অগ্রগতি হচ্ছে। কিন্ত আমরা কোন্ বঙ্গবন্ধুকে প্রতিষ্ঠা করছি? বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাদ দিলে থাকে একজন মানুষ, তার বজ্রকণ্ঠ ও সুদর্শন চেহারা। আমাদেরকে সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকেই এ দেশে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সামনে আনতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে এলে আমাদের সব অর্জন বিনষ্ট হয়ে যাবে। জামায়াত-বিএনপি যেভাবে তৎপর তাতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রের নিরপত্তা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী বলেন, যারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে চিৎকার করে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গুরুত্ব হৃদয়ে কতখানি ধারণ করেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কারাগারের রোজনামচার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আছে। বঙ্গবন্ধুর চেতনার আদর্শে গড়া বাংলাদেশ সহজে শেষ হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছাড়া চলবেও না। এখন সময় এসেছে কোন ধোঁয়াশা না রেখে তরুণ প্রজন্মের সামনে স্পষ্ট ভাষায় ইতিহাস তুলে ধরার। ২১ আগস্টের কথা বললে তারেকের কথা বলতে হবে, ১৫ আগস্টের কথা বললে জিয়ার কথা বলতে হবে। আসিফ মুনীর তন্ময় বলেন, আদর্শিক চর্চা বাড়াতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার্থে চেতনাবিরোধী বক্তব্য প্রতিরোধ করতে হবে। মারুফ রসুল বলেন, ১৫ আগস্ট প্রত্যেকটা আমলা, সামরিক অফিসার বেইমানী করেছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অংশের কাজ। তপন পালিত বলেন, হাজার বছর ধরে বাঙালীর সমাজ, সংস্কৃতি-রাজনীতিতে গড়ে ওঠা সমন্বয় ও সম্প্রীতির তথা অসাম্প্রদায়িক আদর্শের সার্থক প্রতিনিধি ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
×