ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সীমান্তে ফের ফেনসিডিলের কারখানা চালু

প্রকাশিত: ০৯:২১, ২৬ জুলাই ২০১৯

সীমান্তে ফের ফেনসিডিলের  কারখানা চালু

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ হঠাৎ করে ভারতীয় মাদক কারবারিরা আবারও শুরু করেছে সীমান্তজুড়ে ফেনসিডিলের কারবার। বিজিবির প্রতিবাদের মুখে তারা এইসব ফেনসিডিল তৈরির কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু গত তিন মাস আগে পশ্চিম বাংলার মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্তের সবকটি কারখানা আবার চালু করে। যদিও এইসব কারখানায় তারা মিয়ানমারের আদলে ইয়াবা তৈরি করছিল। তবে তাদের ঝোঁক ইয়াবার চেয়ে ফেনসিডিলের প্রতি। যার কারণে নওগাঁ থেকে শুরু করে সাপাহার হয়ে গোমস্তাপুর, ভোলাহাট, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা উপজেলা পর্যন্ত গত তিন মাসে বিজিবি প্রায় কয়েক হাজার বোতল ফেনসিডিল আটক করেছে। তারা পশ্চিম বাংলার দুই জেলায় নতুন করে প্রায় ৭৬টি নতুন কারখানা চালু করেছে। এইসব মাদক তৈরির কারখানায় প্রায় দেড় হাজার যুবকের চাকরি হয়েছে। এদের অধিকাংশ বাংলাদেশী। নানান অপরাধ করে এবং পশ্চিম বাংলার এই দুই জেলায় অবস্থান করছিল। যার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৭৪ কিলোমিটার ও নওগাঁ-রাজশাহীর প্রায় ৬০ কিলোমিটারজুড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল আসছে। এই তিন জেলার সীমান্তে আইন প্রয়োগকারীরা সব সময় তটস্থ থাকছে ফেনসিডিল উদ্ধারে। আবার কোন কোন সময় ঠেলে দিচ্ছে ইয়াবা। শুধু ইয়াবা পাঠিয়ে থেমে থাকছে না। সময় সময় ঠেলে দিচ্ছে খুবই কম দামের নেশার নানান ধরনের ট্যাবলেট ও গাঁজা। আইন প্রয়োগকারীরা এইসব নেশা ধরলেও এর কয়েক শ’ গুন বেশি ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। এইসব নেশার সঙ্গে সঙ্গে সময় ও সুযোগ বুঝে ঠেলে দিচ্ছে নানান ধরনের হালকা ও ভারি অস্ত্র গোলাবারুদ ও নাশকতার কাজে দারুণভাবে ব্যবহৃত বিস্ফোরক। দুই ধরনের বিস্ফোরক আসছে একটি লিকুইড ও পেস্ট আকারে। অপরটি একেবারে গুঁড়ো ধরনের। এইসব বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য বহনের বা পাঠানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশী পালিয়ে থাকা যুবকেরা। তারা এইসব অবৈধ মালামাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাঠানোর বিষয়ে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করছে। যার কারণে বাহক কোনভাবেই ধরা পড়ছে না। তারা বিজিবির তদারকি বা পাহারায় আছে বুঝতে পারলেই মালামাল ফেলে আবার ভারতে ঢুকে পড়ছে। তাদের লক্ষ্য একটাই বহনকারীরা যেন ধরা না পড়ে বিজিবির হাতে। তাই তারা পালিয়ে যাচ্ছে মালামাল ফেলে ভারতের মধ্যে। যার কারণে বিজিবি অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক উদ্ধার করলেও বহনকারীদের ধরতে পারেনা। ইদানীং কোরবানি এসে পড়ায় দল বেঁধে বাংলাদেশী যুবকরা পশু আনতে যাচ্ছে। যার কারণে সীমান্ত এলাকায় কিংবা ভারতের মধ্যে এইসব গরুর রাখাল বাংলাদেশীরা বিএসএফের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছে। কিংবা বিএসএফ এইসব বাংলাদেশী গরুর রাখালকে আটক করে অন্য পন্থায় মেরে গায়েব করে দিচ্ছে লাশ।
×