ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এনায়েতপুরে যমুনা তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১১ জুলাই ২০১৯

 এনায়েতপুরে যমুনা  তীর সংরক্ষণ  বাঁধে ধস

সংবাদদাতা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ, ১০ জুলাই ॥ প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে এনায়েতপুরে যমুনা তীর সংরক্ষণে ৩০ মিটার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণগ্রাম তাঁরা মসজিদের পাশে এ ধস নামে। এ কারণে এলাকাবাসী ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায়, চিকিৎসা, শিক্ষা ও তাঁতশিল্প নগরী এনায়েতপুর থানার ব্রাহ্মণগ্রামে যমুনার ভাঙ্গন রোধে সম্প্রতি ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জরুরী ভিত্তিতে ৫ শ’ মিটার এলাকায় তীর সংরক্ষণে কাজ করা হয়েছে। এছাড়া কাজ সংলগ্ন উত্তরে তাঁরা মসজিদ এলাকায় ভাঙ্গন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে আরও ৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল। বুধবার ভোরে সেখানেই আকস্মিক ভাঙ্গন দেখা যায়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাঁরা মসজিদটি বর্তমানে যমুনা নদী থেকে মাত্র ৮ মিটার দূরে রয়েছে। যে কোন সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এদিকে সংরক্ষণ কাজের দক্ষিণে আড়কান্দি চর এলাকায় গত তিনদিনে প্রায় ১৫টি বসতভিটা নদীতে চলে গেছে। দ্রুত সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে বিলীন হবে বিস্তীর্ণ এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ আড়কান্দি এলাকায় ভাঙ্গন রোধে কোন কাজ করা হয়নি। এছাড়া খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতালের দক্ষিণে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাঁচিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে নদী ভাঙ্গন। এ কারণে দেশের সর্ববৃহৎ কাপড়ের হাট, এনায়েতপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, ৮০০ শয্যার খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু তাঁত কারখানা এবং অসংখ্য ঘরবাড়ি রয়েছে ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ পাউবোর এসও মাসুদুল হক জানান, ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া আড়কান্দি চর এলাকার ভাঙ্গন ঠেকাতে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে উর্ধতন মহলকে জানানো হয়েছে।
×