ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তরায় ডিএনসিসির চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু

প্রকাশিত: ০৮:৫২, ২৮ মে ২০১৯

 উত্তরায় ডিএনসিসির চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর উত্তরায় এই প্রথমবারের মতো চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ (ডিএনসিসি)। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই সার্ভিসটি চালু করা হয়েছে। এর আগে সংস্থাটির সীমানায় ঢাকা চাকা নামে গুলশান বনানী এলাকায় প্রথমবারের মতো চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। উত্তরায় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ১০টি এয়ারকন্ডিশন বাসের এ সার্ভিসটি ডিএনসিসি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এই চক্রাকার বাস সেবাটি বাস্তবায়ন করবে। সোমবার দুপুরে উত্তরার রবীন্দ্র সরণিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চক্রাকার বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া, ঢাকা পরিবহন সমন্বিত কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান, ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জাননো হয়, দুটি রুটে এই সেবা প্রদান করবে। একটি রুট হচ্ছে উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত সোনারগাঁও জনপদে চক্রাকারে চলবে। অপরটি এয়ারপোর্ট থেকে সেক্টর ১২ পর্যন্ত চক্রাকারে চলবে। এটি বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে উত্তরা হয়ে দিয়াবাড়ি ঘুরে আবার উত্তরা এসে থামবে এ বাসগুলো। এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত টিকেটের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। এছাড়া এর মধ্যবর্তী যেকোন স্থানের জন্য ২০ টাকার টিকেট কিনতে হবে যাত্রীদের। অর্থাৎ যে কোন স্থানে নামলেই যাত্রীদের ২০ টাকা প্রদান করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদ্বোধনের আগে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, গণপরিবহন এবং যানজট আমাদের শহরের একটি প্রধান সমস্যা। এই শহরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে আগে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। নাগরিকরা সচেতন না হলে আমরা হাজার চেষ্টা করলেও সমস্যার সমাধান হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা দুই মেয়র কাজ করে যাচ্ছি এই শহরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, হেডফোন কানে লাগিয়ে রাস্তা পারাপার হলে অথবা মোবাইল ফোনে কথা বলা অবস্থায় গাড়ি চালালে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কখনও কমে আসবে না। সাঈদ খোকন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। আমাদের প্রতিবেশী ও আরও অনেক দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে আছে।
×