ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাচার চক্রের হোতা ‘নোয়াখালীর তিন ভাই’

প্রকাশিত: ০৯:৫৫, ১৬ মে ২০১৯

 পাচার চক্রের  হোতা ‘নোয়াখালীর  তিন ভাই’

বিডিনিউজ ॥ অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির শিকার বাংলাদেশীরা যে মানব পাচার চক্রের খপ্পরে পড়েছিলেন, তার হোতাসহ পাঁচজনের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এ মোমেন বুধবার তার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাংলাদেশীদের সঙ্গে কথা বলে তিউনিসিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মকর্তারা এ তথ্য পেয়েছেন। তিনি বলেন, জানা গেছে, নোয়াখালীর তিন ভাই এই চক্রের হোতা। মাদারীপুরের আছে আরও দুজন। তদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে সন্দেহভাজন ওই মানব পাচারকারীর নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। এই ব্রিফিংয়ে ৩৯ বাংলাদেশীর একটি তালিকা তিনি প্রকাশ করেছেন, যাদের কোন খোঁজ এখনও মেলেনি। সংঘাতময় লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুটি নৌকায় রওনা হয়েছিলেন দেড় শতাধিক যাত্রী। তাদের মধ্যে বাংলাদেশীদের পাশাপাশি মিসরের নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ৫০ আরোহী নিয়ে একটি নৌকা তীরে ভিড়তে পারলেও শুক্রবার ভোরে তিউনিসিয়া উপকূলে অন্য নৌকার যাত্রীদের ছোট একটি নৌকায় তোলার পর যাত্রীর ভারে তা ডুবে যায়। তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় নৌকাডুবির ঘটনার পর প্রতিবেশী লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে তিউনিসিয়ায় পাঠানো হয়। এ এস এম আশরাফুল ইসলাম নামের ওই কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, নৌকা ডুবির পর যে বাংলাদেশীরা এখনও নিখোঁজ, তাদের লাশ উদ্ধারের সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। উদ্ধার হওয়া লাশের মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়ার উত্তম কুমার নামে একজনকে শনাক্ত করার কথাও জানান আশরাফুল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই একজনের বাইরে ৩৯ বাংলাদেশীর নাম-পরিচয় তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনই বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের। নৌকার আরোহীদের মধ্যে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ বাংলাদেশীর নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন আছেন তিউনিসিয়ার হাসপাতালে। বাকি ১০ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
×