ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

রক্ততিলকে রাজকন্যাকে জাগিয়ে তোলার কাহিনী ঘুমকুমারী

প্রকাশিত: ০৯:৫১, ১১ মে ২০১৯

 রক্ততিলকে রাজকন্যাকে  জাগিয়ে তোলার  কাহিনী ঘুমকুমারী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাটকের গল্পজুড়ে আছে সাধারণ মানুষের অধিকারে কথা বলা এক রাজকুমার। নিজ রাজ্য ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে অপর এক রাজ্যে। সেখানে সে জড়িয়ে যায় নতুন অভিযানে। কপালে রক্ততিল জাগিয়ে তোলে অভিশপ্ত রাজকুমারীকে। সেই সঙ্গে জেগে ওঠে ঘুমন্তপুরী। এমনই এক গল্পের নাটক ‘ঘুমকুমারী’। প্রযোজনাটি মঞ্চে এনেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীরা। দ্য স্লিপিং বিউটি গল্পের ছায়া অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন আফসার আহমেদ। নির্দেশনা দিয়েছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রযোজনাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে। নাটকের গল্পে আবির্ভূত হয় বঙ্গদেশের রাজপুত্র রূপকুমার। প্রজাদের অধিকার নিয়ে রাজা মেঘশাহের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয় রূপকুমার। মায়ের সহায়তায় বন্দীদশা থেকে মুক্ত হয়ে সে যাত্রা করে অজানার উদ্দেশে। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় সে হাজির হয় কাঞ্চনপুর নামক এক রাজ্যে। সেখানে এক ফকিরের কাছে জানতে পারে সেই রাজ্যের দুর্দশার কাহিনী। ক্ষুব্ধ এক পরীর অভিশাপে বছরের পর বছর ধরে ঘুমিয়ে আছে সে রাজ্যের রাজকন্যা। শুধু কোন রাজপুত্রের রক্তদানের মাধ্যমে সে আবার জেগে উঠবে, রাজ্যে আবার ফিরে পাবে প্রাণ। রাজপুত্র সেই অসাধ্য সাধনের লক্ষ্যে ঘুমন্ত রাজপুরীতে প্রবেশ করে। অজস্র প্রতিকূলতা পেরিয়ে রাজকন্যার কপালে রক্ততিলক এঁকে তাকে জাগিয়ে তোলে। রাজকন্যা জেগে ওঠে। ঘুমন্তপুরী আবার জেগে ওঠে। জেগে ওঠে সাধারণ মানুষ। রাজপুত্র যে অধিকার নিয়ে পিতার সঙ্গে লড়াই করেছিল, কাঞ্চনপুরে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- তামিম হোসেন, নাহিদ আল মবিন, আকাশ তুহিন, শচীন ভট্টাচার্য, রেজওয়ান রাশেদ সোয়ান, আরিফুল ইসলাম নীল, শরণ এহসান, রিফা রাফিয়া, তুনতুন মজুমদার, নিশি ওয়াহেদ, সোহানা তানজীম, সাবরীন শ্রাবণী, বন্যা রায়, আসমাউল হুসনা বৃষ্টি, তন্বী, শাকিল আহমেদ, শাহিনূর আক্তার প্রীতি, মৌশ্রী দাস নিশু, নিশাত তাসমিন টুম্পা, শুক্লা রায়, মাহমুদুল হক মায়ান, মেহেদী ইসলাম, আবু রায়হান, তানভীর পালোয়ান অপূর্ব, ফারিয়া চৌধুরী ইতু, উষ্মিতা চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম জিসান ও সাজ্জাদুল অলক শুভ। সুর ও সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন আফসার আহমদ, ইউসুফ হাসান, রুবাইয়াৎ আহমেদ ও শচীন ভট্টাচার্য। খায়রুজ্জাহান মিতুর পোশাক পরিকল্পনায় আলোক পরিকল্পনা করেছেন হাবিব মাসুদ। সঙ্গীতদলে ছিলেন শচীন, আকাশ, মবিন, নীল, সোয়ান, তামিম, তুনতুন, নিশি ও উষ্মিতা।
×