ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রত্যাশা এফবিসিসিআইর

প্রকাশিত: ১১:০৮, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রত্যাশা এফবিসিসিআইর

এম শাহজাহান ॥ ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের অনুকূল এরকম একটি বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রত্যাশা করছে দেশের শীর্ষ উদ্যোক্তা সংগঠন এফবিসিসিআই। এ লক্ষ্যে ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায়ের নামে হয়রানি বন্ধ, সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক ঋণের সুদের হার নামিয়ে আনা এবং ঋণ নিয়ে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপী হয়েছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির কথা বলবে সংগঠনটি। অন্যদিকে যারা বিনিয়োগ করে নানা সমস্যার কারণে শিল্প প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিকভাবে লাভবান করতে পারেনি তাদের বিশেষ সুযোগ দেয়ার কথাও বলবে এফবিসিসিআই। আজ মঙ্গলবার এফবিসিসিআই ও জাতীয় রাজস্ব বোডের্র যৌথ উদ্যোগে চল্লিশতম বাজেট পরামর্শক কমিটির সভায় এসব দাবি জানানো হবে। এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট নিয়ে উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বড় এই সভায় সারাদেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর ব্যবসায়িক নেতাদের যোগদান করার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। বড় অঙ্কের এই ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। ভ্যাট ও ট্যাক্স আদায় বাড়াতে আগামী অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ভ্যাট আইন কার্যকর হবে। তবে আইনটি এমনভাবে কার্যকর করা হচ্ছে যাতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত না হয়। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, আগামী বাজেট হচ্ছে বিনিয়োগবান্ধব বাজেট। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, সামাজিক সুরক্ষার আওতায় দেশের প্রতিটি পরিবার থেকে যাতে একজনকে চাকরি দেয়া যায় সেই পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এজন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে, বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়ন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পরও সুদের সিঙ্গেল ডিজিট হার কার্যকর হয়নি। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সঙ্কটের কারণে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম নেই বললেই চলে। ভ্যাট ও কর আদায়ের নামে হয়রানি আছে। অন্যদিকে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ঋণ পাচ্ছে না, টাকার অভাবে খেলাপী হয়ে যাচ্ছেন। আবার ব্যাংকের টাকা নিয়ে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপী হচ্ছে। ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করছে না।
×