ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিলাসী জীবন ছেড়ে ফুটপাথে

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

বিলাসী জীবন ছেড়ে ফুটপাথে

একটু ভাল করে বাঁচতে এক জীবনে কত কিই না করি আমরা। নাড়ির বাঁধন ছিঁড়ে কেউ পাড়ি জমাই শহরে। আবার কেউবা পরবাসে। সেখানে কেউ সফল হয় আবার কারও মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে আশ্রয় হয় ফুটপাথে। তবে স্বেচ্ছায় বাড়িঘর ছেড়ে ফুটপাথে বসবাসের উদাহরণ বোধহয় নজিরবিহীন। কিন্তু যেটা নজিরবিহীন সেটাই করেই দেখিয়েছেন সিমন লি। বায়ান্ন বছর বয়সী হংকংয়ের এই নাগরিক গত সাত বছর ধরে স্বেচ্ছায় বাড়িঘর ত্যাগ করে ফুটপাথে বসবাস করছেন। শুধু তাই নয় সহায়-সম্পদ, পরিবার, চাকরি-বাকরি এমনকি নিজের সঙ্গিনীকেও ত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেন? এই কাহিনী জানতে হলে সিমন লির পেছনের জীবনের দিকে তাকাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যামিস্ট্রিতে গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন সিমন। শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত ভাল বেতনে চাকরিও করতেন তিনি। কিন্তু গৎবাঁধা জীবন ভাল লাগল না সিমনের। তাই চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ‘এশিয়ার লাস ভেগাস’ খ্যাত ম্যাকাউয়ে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত সেখানে বাচ্চাদের পড়াতেন। এরপর গেলেন চীনের ঝুহাই শহরে। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ক্যাসিনোতে যেতেন সিমন। জুয়া খেলতেন, থাকতেন ফুটপাথে। ঝুহাইয়ের ক্যাসিনোর জুয়াড়িরা বাজিতে জিতলে টাকার কিছু অংশ শহরের ফুটপাথে থাকা মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন। ফলে এই শহরেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিমন। তবে সিমনের এমন স্বেচ্ছা ভবঘুরে জীবনযাপনেও বাঁধ সাধে ঝুয়াই কর্তৃপক্ষ। ২০১০ সালে তাকে পাঠিয়ে দেয় হংকংয়ে। কিন্তু নিজেকে পাল্টানোর সামান্যতম ইচ্ছে ছিল না সিমনের। শহরের ধনাঢ্য এলাকার একটি ম্যাকডোনাল্ড থেকে উচ্ছিষ্ট খাবার আর পার্শ্ববর্তী একটি শিখ মন্দির থেকে টুকটাক সহায়তা নিয়েই জীবন চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি। তার পোশাকগুলো হংকংয়ের সমাজসেবীদের দান করা অথবা রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া। সরকার থেকেও কোন ধরনের সহায়তা নেন না তিনি। রাস্তা কিংবা পার্কে ঘুমালেও পুরো হংকংয়েই ঘুরে বেড়ান তিনি। -ইয়াহু নিউজ
×