ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিজেকে ‘স্পেশাল’ দাবি রাসেলের!

প্রকাশিত: ১২:০৪, ১০ এপ্রিল ২০১৯

নিজেকে ‘স্পেশাল’ দাবি রাসেলের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা এখন ভারতে। সবাই ব্যস্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) খেলে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। বোলিংয়ের চেয়ে তার বিশেষত্ব ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং করার ক্ষমতা। আর সে কারণে দিল্লী ক্যাপিটালসের দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা ক্রিস মরিস এ ক্যারিবীয় তারকাকে ‘খেলার মোড় ঘুরানো’ খেলোয়াড় হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি দাবি করেন যে কোন বোলার যখন রাসেলকে বোলিং করবেন তার চামড়া অবশ্যই মোটা হতে হবে, নয়তো রাসেল যা করবেন তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে না। আর সে জন্য রাসেল নিজেও নিজেকে ‘স্পেশাল’ দাবি করেছেন। রাসেল যেভাবে ব্যাট করেন তাতে করে বিশ্বের যে কোন বোলারের জন্যই তা ভয়ানক। তার প্রমাণ বেশ কয়েকবার বিভিন্ন পর্যায়ের ক্রিকেটে দেখিয়েছেন। আর গত শুক্রবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে কলকাতার ম্যাচে আরেকবার দেখা গেল। তা দেখে মরিস বলেন, ‘রাসেলের বিপক্ষে বোলিংয়ের সবচেয়ে ভাল লাইন হচ্ছে বোলারের গায়ের চামড়াটা বেশ পুরু হতে হবে। সে আসলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।’ কিন্তু এসব কথা যেন মনেই রাখেনি এদিন ব্যাঙ্গালুরুর কেউ। সে জন্যই মাত্র ১৩ বলে ১ চার, ৭ ছক্কায় ৪৮ রানের হার না মানা যে টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন তাতে করে ২০৫ রান তাড়া করেও ৫ বল আগেই জিতে গেছে কলকাতা। অথচ একসময় কলকাতার প্রয়োজন ছিল ২৬ বলে ৬৭ রান। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালভাবেই ছিল ব্যাঙ্গালুরুর হাতে। সে সময় ক্রিজে এসে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে হাল্কা আলোচনা করে নিয়ে পরের ওভার থেকেই তা-ব শুরু করেন রাসেল। প্রথম বলটি মাথার ওপর দিয়ে যাওয়াতে কিছুই করতে পারেননি, কিন্তু পরবর্তী ৫টি বলকে আর বৃথা যেতে দেননি রাসেল। তাহলে রাসেলের বিপক্ষে কিভাবে বোলিং করতে হবে এটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর রাসেল ম্যাচ জিতিয়ে ফেরার পর জানিয়েছেন ছক্কা হাঁকানোর বাইরে অন্য কোন চিন্তাই ছিল না তার মাথায়। তিনি বলেন, ‘যতটা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে ছক্কা হাঁকাতে হবে এটাই চিন্তা ছিল। ছক্কাই প্রয়োজনীয় রানরেট কমিয়ে আনে। আর সে জন্যই আমার মাথায় ছিল দরকারী রানের পরিমাণ কমিয়ে আনার। আমি ডিকে (কার্তিক)-কে বলেছিলাম, যখনই আমরা ফাস্ট বোলারদের জন্য অপেক্ষা করে সেটিকে পরে হাঁকাব তখনই বোলাররা তাদের লেন্থ হারিয়ে ফেলবে।’ আর এভাবেই সবসময় অনুশীলনও করেন রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তগুলোর জন্যই অনুশীলন করি। প্রথম বল থেকেই আমি সবকটিকে হাঁকানো শুরু করে দেই। কারণ আমি জানি যে পরিস্থিতিতে আমি আসি তখন এটাই উপযুক্ত কাজ। এদিনও (শুক্রবার) আমি বিন্দুমাত্র খেয়াল করিনি স্কোরবোর্ডে কি ঘটছে। একটা বিষয়ই খেয়াল করেছি যে আমাদের অনেক রান দরকার। আমি জানি আমি ‘স্পেশাল’ কেউ। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমি যেন শান্তশিষ্ট থাকি। কারণ যখন ভাল করতে থাকবেন তখনই আসলে সংগ্রামটা শুরু হবে। আমি কোনকিছুকেই গ্রাহ্য করি না। আমি কখনই বলি না যে আজ ৪০ করেছি এবং পরদিন আবার সেখান থেকেই শুরু করব। নতুন একটি ম্যাচে একেবারেই নতুন করে শুরু করতে হবে।’
×