ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনীতি ছাড়তে চান জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক!

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৩০ মার্চ ২০১৯

 রাজনীতি ছাড়তে চান জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক!

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ‘রাজনীতি ছেড়ে দেব কিনা ভাবছি’- রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নিজস্ব ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দেয়ায় রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। তবে আসাদের দেয়া স্ট্যাটাসের পেছনে এমপিদের অসাংগঠনিক কর্মকান্ড ছাড়াও নানা কারণ উল্লেখ করেন তিনি। দলের পদপদবি ছেড়ে একেবারেই রাজনীতি থেকে সরে আসতে চান তিনি। এমনই ইঙ্গিত দিয়ে বৃহস্পতিবার একটি পোস্ট দিয়েছেন আসাদ। এ নিয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আসাদের পোস্টে মন্তব্য করেছেন নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীরা। তারা দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর হস্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের দমনের কথা বলেছেন। নিজস্ব ফেসবুকে আসাদুজ্জামান আসাদ লেখেন ‘রাজনীতি ছেড়ে দেব কিনা ভাবছি’। দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না।’ আসাদের এই পোস্টের পর রাজশাহীতে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়। অনেকেই আসাদকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে তার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান। অনেকেই খোঁজ-খবর নেন। আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তিনি দলের রাজনীতিতে সবসময় তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের ছায়া দিয়ে এসেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীসহ জেলার কয়েক নেতা ও এমপির দলবিরোধী কর্মকান্ডে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিভিন্ন উপজেলায় এমপিদের লোকেরা দলের ভেতরে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাকে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায় দলের পদ থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে। উদাহরণ তুলে ধরে আসাদ আরও বলেন, সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মজিদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী ও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, ঝালুকা ইউপি চেয়ারম্যান মোজাহার আলীসহ মোট ১২ নেতাকর্মীকে উপজেলা ভোটের আগে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদের কোন অপরাধ ছিল না। তারা উপজেলা নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিল, এই তাদের অপরাধ।
×