ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘সাম্য ও ইনসাফের মর্মবাণী ধারণ করে ইসলাম’

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

‘সাম্য ও ইনসাফের মর্মবাণী ধারণ করে ইসলাম’

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সত্য, সুন্দর, সাম্য ও ইনসাফের মর্মবাণী ধারণ করে ইসলাম। যা কিছু ভাল, সত্য ও সুন্দর তার পক্ষে সায় দেয় ইসলাম। যুব সমাজের মধ্যে অবক্ষয় ও অনৈতিকতার বিস্তার বন্ধে সুস্থ নৈতিকতাশ্রয়ী ইসলামী সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে অপসংস্কৃতির রাশ টেনে ধরতে হবে। বুধবার বিকেলে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক মনীষী হযরত শাহ সুফী মাওলানা সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানীর ৮২তম খোশরোজ শরীফ উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন শাহসুফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী। ইসলামী ক্যালিগ্রাফি কর্মশালা এবং শিক্ষার প্রসার ও শান্তির সমাজ বিনির্মাণে সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানীর অবদান শীর্ষক এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা সৈয়দ মেহেবুব এ মইনুদ্দীন আল হাসানী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব এ্যাডভোকেট কাজী মহসিন চৌধুরী। সেমিনারে আলোচকরা বলেন, আরবি অক্ষরকে সুন্দর লিপির মাধ্যমে উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপনই হচ্ছে ইসলামী ক্যালিগ্রাফি। শিল্পীর তুলিতে ও আঁকায় ইসলামের সৌন্দর্য মূর্ত হয়ে উঠে। তারা বলেন, আউলিয়ায়ে কেরামগণ সব সময় সত্য ও ন্যায়নীতির পক্ষে সোচ্চার হন। মাইজভান্ডার শরীফের বুজুর্গ অলি, মহাত্মা মনীষী, শায়খুল ইসলাম হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও শান্তির ললিত বাণী সাংগঠনিকভাবে দেশ ও বিশ্বে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরে স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি শিক্ষার প্রসার ও শান্তির সমাজ বিনির্মাণে বহু খানকা, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানা প্রতিষ্ঠাসহ দেশে দেশে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। এ ভূমিকার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আফ্রিকান ইসলামিক মিশন ফর ওয়ার্ল্ড এ্যান্ড ঘানা ন্যাশনাল সেলিব্রেশনস’ এর যৌথ আয়োজনে বিশ্ব শান্তির দূত সম্মাননায় ভূষিত হন। তাঁর আলোকিত জীবনী বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে মাদক, সন্ত্রাস, হানাহানি ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গড়ায় এগিয়ে আসতে হবে। দুই পর্বের সেমিনারে প্রথম পর্বে ক্যালিগ্রাফি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন চীনের বিখ্যাত ক্যালিগ্রাফার কোয়াং জিয়াং মি (হাজী নুর দ্বীন), ফাতিমা ইয়াং চৌ এবং বিশিষ্ট ক্যালিগ্রাফারবৃন্দ। এতে প্রশিক্ষণ নেন অর্ধশতাধিক প্রশিক্ষণার্থী। দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস অধ্যাপক সোলায়মান আনসারী, প্রধান ফক্বিহ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ আল কাদেরী, সোবহানিয়া আলীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি হারুনুর রশীদ, এ্যাডভোকেট সৈয়দ কামাল, মইনীয়া আইনজীবী পরিষদের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন জাবেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট এসএম শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাকিব উল আলম চৌধুরী, এ্যাডভোকেট দিদার-ই আলম, আঞ্জুমান চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি বোরহান উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মইনীয়া ওলামা মাশায়েখ ফোরাম সাধারণ সম্পাদক হযরত মাওলানা ইসমাইল সিরাজী, আন্তধর্মীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিকিরণ বড়ুয়া রাসেল, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার অর্থ সম্পাদক এইচএম মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরী প্রমুখ।
×