সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট সুনামি শনাক্ত করে আগেভাগেই সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম একটি নতুন ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। আগামী বছর নতুন এ প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি সরকারী সংস্থা। খবর বিবিসি’র।
গত শনিবার আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সমুদ্র তলদেশে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১ হাজার ৪৫৯ জন, এখনও নিখোঁজ দেড়শতাধিক মানুষ। ‘এ্যাসেসমেন্ট এ্যান্ড এ্যাপলিকেশন অব টেকনোলজি’ সংস্থার মুখপাত্র আইয়ান তুরিয়ান বলেন, নতুন প্রযুক্তি ঢেউয়ের আকার শনাক্ত করে সুনামির সতর্কতা জানাবে।
দেশটির বর্তমান প্রযুক্তি সুমাত্রা ও জাভা দীপাঞ্চলের মাঝে অবস্থিত সুন্দা প্রণালীর সৈকতগুলোতে শনিবার সন্ধ্যায় আছড়ে পড়া সুনামি সম্পর্কে কোন ধরনের আগাম বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
এই প্রযুক্তি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির সতর্কতা জারি করতে সক্ষম। কিন্তু সমুদ্র তলদেশে ভূমিধস বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সমুদ্রে আলোড়ন সৃষ্টির ফলে যে ভয়াবহ ঢেউ তৈরি হয় তা সম্পর্কে কোন আগাম ধারণা দিতে পারে না। তহবিলের অভাব, আগে বসানো বয়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো পুনর্¯’াপন না করা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে এর জন্য দায়ী করেছেন কর্মকর্তারা। ২০১২ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সতর্কতায় জারির কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেই বলেও জানান তারা।
আনাক ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত থাকায় নতুন করে সুনামির আশঙ্কায় উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপাদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবারের সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনও উদ্ধার কাজ চলছে। ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখন পর্যাপ্ত খাবার, পানি, ওষুধ ও কম্বল না পৌঁছানোয় আটকে পড়া লোকজনকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। ওইসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষ তাঁবু, অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র বা মসজিদে বসবাস করছে।