ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত ও রক্তপাত যেন না হয়

প্রকাশিত: ২০:১৭, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত ও রক্তপাত যেন না হয়

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত ও রক্তপাত না হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনও রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানী হোক।’ সোমবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের শেষ দিনের ব্রিফিং কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেটাকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরপেক্ষতা থাকতে হবে এবং ক্ষিপ্রতা থাকতে হবে। ধৈর্য্য সহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনও সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনও রকম রক্তপাত হোক বা প্রাণহানী হোক। এগুলোকে সামলানোর জন্য, দেখভাল করা আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগে ও পরে এই সময় আপনাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে। তাদেরকে পরিচালনার দায়িত্বে আপনাদের থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। অনেক সময় আপনাদেরকে নানা কারণে উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেওয়া হয়। আপনাদেরকে মিসগাইডের মধ্যে ফেলা হয়। সেইসব অবস্থায় আপনাদেরকে বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে আসলে অবস্থা বুঝতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ঘটনা সত্য বা মিথ্যা তা আপনাদের বুঝতে হবে। আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিজাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন। ’ সিইসি বলেন, ‘আমি জানি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদেরকে কখনও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতিতে ফেলবে না। তাদের ওপর আস্থা রাখবেন এবং তাদের কথা শুনতে হবে। কখনও ধৈর্য্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনও বিভ্রান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে,জেনে,শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিত শান্ত হবে।’ সিইসি আরও বলেন, ‘আচরণবিধি ভালোভাবে রপ্ত করবেন। আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে যেনও এমন কোনও কাজ করবেন না। যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বারবার বলি আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা আমরা নির্বাচন করবো। নির্বাচন উঠিয়ে নিয়ে আসবো। সেখানে সেই পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই দায়িত্বটুকু আপনাদেরকে পালন করতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এবং আচরণবিধি ও আইনের মাধ্যমে তা করতে হবে।’
×