ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দ্রুতই ফিরতে চান সাকিব

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

দ্রুতই ফিরতে চান সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আঙ্গুলের ইনজুরিটা গত জানুয়ারিতে হয়েছিল দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে আসরে। তখন থেকেই কনিষ্ঠ আঙ্গুল নিয়ে ভুগছেন সাকিব আল হাসান। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এখন তিনি ইনফেকশন কাটিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন। আপাতত ৩ মাসের মধ্যে ফেরা হবে না এমনটাই জানা গেছে। কিন্তু সাকিব এর আগেই ক্রিকেটে ফিরতে উন্মুখ। এমনকি সম্ভব হলে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও নামতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি আগামী ডিসেম্বরে আমিরাত টি২০ লীগে খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে নন অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। তবে বিসিবি দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে। জানানো হয়েছে সবকিছু পর্যালোচনা করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আঙ্গুলের ইনজুরির দুই মাস পরেই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে শেষ দুটি টি২০ ম্যাচে খেলেছিলেন সাকিব। সেই ইনজুরি নিয়ে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও গেছেন পরবর্তীতে। এরপরই তার অস্ত্রোপচার করাতে হবে এমনটাই বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এশিয়া কাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে ছাড়া খেলতে চায়নি বাংলাদেশ দল। তাতেই ঘটেছে বিপত্তি, শেষ দুই ম্যাচ না খেলেই ফুলে যাওয়া কনিষ্ঠ আঙ্গুলের তীব্র ব্যথা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার আঙ্গুলে ইনফেকশন শনাক্ত করা হয় এবং পরিমাণে অনেক বেশি পুঁজ বের করা হয়েছিল। কয়েকদিন পরেই উচ্চতর চিকিৎসার জন্য অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে পাঠানো হয় সাকিবকে। সেখানকার চিকিৎসকরা আপাতত অস্ত্রোপচার লাগবে না জানালেও ৩ মাস খেলতে পারবেন না এমনটা বলা হয়েছে। ৩ মাস পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে অস্ত্রোপচার করানো না লাগলে ক্রিকেটে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন সাকিব। এ কারণেই চলমান জিম্বাবুইয়ে সিরিজ এবং এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে সাকিব খেলবেন না তা নিশ্চিত হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই সাকিবের আমিরাত টি২০ লীগ খেলার জন্য এনওসি আবেদন বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্টটি। এ প্রসঙ্গে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন, ‘সাকিব সেখানে খেলতে এনওসি জমা দিয়েছে। তাকে সেটার অনুমতি দেয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’ সাকিব সেখানে খেলতে চাইছেন নিজের আগ্রহেই। তবে বিসিবি ইনজুরি ভাবনায় তাকে ছাড়তে রাজি নয়। বর্তমানে আঙ্গুলের চোট সারাতে পুনর্বাসনে থাকায় চলমান জিম্বাবুইয়ে সিরিজে খেলতে পারছেন না। আর এই চোটের কারণে তাকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে নারাজ বিসিবি। কারণ, আগামী বছর ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোনভাবেই সাকিবকে ছাড়া যেতে চায় না বাংলাদেশ দল। সাকিব অবশ্য তার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যত দ্রুত পারি ফিটনেস ফিরে পেতে চাই। আমি সব দুয়ারই খোলা রাখতে চাই যাতে করে প্রথম যেই সুযোগ আসুক সেটা লুফে নিতে পারি। আমি জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলতে চাই। যদি তা না হয় তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরতো রয়েছেই। এরপর আরব আমিরাতের টুর্নামেন্ট। এরপর আমাদের বিপিএল আছে এবং নিউজিল্যান্ড সফর আছে।’ কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আগামী মাসের সিরিজ খেলতে হলেও ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে সাকিবকে। সুস্থতা তার আগে আরও জরুরী বিষয়। অবশ্য আমিরাতের টি২০ লীগ যখন শুরু হবে, ততদিনে চিকিৎসকদের আনুমানিক বেঁধে দেয়া ৩ মাসের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। এখন সবকিছু নির্ভর করছে সাকিবের এনওসির উত্তর বিসিবি কি দেবে তার ওপর।
×