ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জানালেন ইসি সচিব

৩০ অক্টোবরের পর যে কোন দিন নির্বাচনের তফসিল

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

৩০ অক্টোবরের পর যে কোন দিন নির্বাচনের তফসিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৩০ অক্টোবরের পর যে কোন দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, কমিশন আশা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্যই রাজনীতি করে। আশা করি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল অংশ নেবে উল্লেখ করেন। সোমবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। বলেন, অক্টোবরের পর কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে যাবে। ৩০ অক্টোবরের পর যেকোন সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনই এ নিয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ ভোটকক্ষ থাকবে। এক্ষেত্রে ৪০ হাজার প্রিজাইডিং অফিসারসহ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার নিয়ে কয়েক লাখ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে। জাতীয় নির্বাচন অনেক বড় একটি কাজ। তফসিল ঘোষণার আগে যেসব কাজ থাকে তার ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রনয়ণ করা এবং তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। নির্বাচনের আগে অনেকেই বদলি হতে পারেন বা অবসরে যেতে পারেন। আমরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আপডেট পাব। এবার প্রায় ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে বলেও জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, ভোটগ্রহণের ২৫ দিন আগে কেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকার গেজেট প্রকাশ করা হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৩শ’ সংসদীয় আসনের সীমানা পুননির্ধারণ, ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের তালিকার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটার তালিকার সিডি করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলা এবং উপজেলাতে এই সিডি পাঠিয়ে দেয়া হবে। গত ৫ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুসারে সব ঠিক করে ৬ সেপ্টেম্বর মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন সেগুলো কমিশনে পাঠাবে। তারপর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনের ২৫ দিন আগে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে। গেজেট প্রকাশ করা হবে কমিশন থেকে। গেজেট প্রকাশের পর কোন ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্ত করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে না। জেলা ও উপজেলা থেকে যে কেন্দ্রগুলো ইসিতে পাঠাবে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, সেগুলো নীতিমালা অনুসারে করা হয়েছে কি না। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। আর ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর থেকে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সময় ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়ার কথা ইসি সচিব এর আগে জানিয়েছেন। আরপিও সংশোধন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে বলেন, এটা কোন গোপনীয় বিষয় নয়। আরপিও সংশোধন প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং অনুমোদন হলে মন্ত্রিসভায়, পার্লামেন্টে পাস হবে। তারপর সবাই জানতে পারবেন। সবকিছু আগে থেকে জানাতে হবে এমন তো কোন প্রবিধান নাই।
×