ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক কর্মশালা ঢাকা ডক ল্যাব শুরু ৩১ আগস্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৮ আগস্ট ২০১৮

প্রামাণ্যচিত্র বিষয়ক কর্মশালা ঢাকা ডক ল্যাব শুরু ৩১ আগস্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের বৈশি^ক পরিচিতি দেয়া ও দেশী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের কলাকৌশল প্রশিক্ষণ দিতে ‘প্রামাণ্যচিত্রের যৌথ প্রযোজনার কলাকৌশল ও যৌথ প্রযোজনার বাজার’ সংক্রান্ত ছয় দিনের কর্মশালা শুরু হচ্ছে আগামী ৩১ আগস্ট। ঢাকা ডক ল্যাব শিরোনামে দ্বিতীয়বারের মতো এ কর্মশালার আয়োজন করছে ঢাকা ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম নেটওয়ার্ক। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। সোমবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কাইভে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান ঢাকা ডক ল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ডক ল্যাবের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ইউসুফ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক এবং গ্যাটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. কাসর্টেন হ্যা কেনব্রক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৩১ আগস্ট বিকেলে ডক ল্যাবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। উদ্বোধন শেষে প্রদর্শিত হবে সিমন ল্যারেঙ্গ উইলমন্টের পরিচালনায় ‘ডিসট্যান্ট বার্কিং অব ডগস্্’। বাংলাদেশের সাতজন, ভারতের ছয়জন এবং নেপালের দুই জনসহ ১৫ জন তরুণ নির্মাতা নিজেদের প্রযোজনা নিয়ে অংশ নেবেন এ আয়োজনে। শিক্ষক হিসেবে থাকবেন লিথুনিয়া, জাপান, পর্তুগাল, ভারত, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, জর্জিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, কোরিয়া ও মালয়েশিয়ার ১৬ জন বিশিষ্ট নির্মাতা। ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক সেমিনার ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছেন জাতীয় জাদুঘর। অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী বিষয়ক প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়ক ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বিশিষ্ট কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ। সভাপতিত্ব করেন জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। মূল প্রবন্ধে ওয়ালিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, তখন শুধু তাঁর রাজনৈতিক দূরদর্শিতাই দেখাননি; তিনি পুরো পৃথিবীকে জানান দিয়েছেন আমরা স্বতন্ত্র বাঙালীয়ানা নিয়ে জন্ম নিয়েছি বাঙালীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। তিনি কূটনৈতিক কৌশলের আশ্রয় নিলেন, সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া থেকে বিরত থাকলেন। তবে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা কিন্তু তিনি ঠিকই দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু পুরো পৃথিবীকে বুঝিয়ে দিলেন তিনি একজন গণতন্ত্রকামী নেতা। এই ভাষণ থেকেই বলা যেতে পারে তিনি একজন চিন্তাশীল দার্শনিক এবং একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা। এই ভাষণে তিনি বুঝিয়ে দিলেন হাজার বছরের নিষ্পেষিত বাঙালী জাতির স্থায়ী জাতীয় স্বার্থ কী, যা আমাদের পার্মানেন্ট ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট। আমি যখন রিফিউজি হয়ে পুরো ইউরোপে (ইংল্যান্ড ছাড়া) বাংলাদেশের জন্য সাহায্য চেয়েছি তখন সমস্ত দেশে যেতে ভিসা লাগত। কিন্তু আমার যে রিফিউজি ডকুমেন্ট ছিল সে ডকুমেন্ট নিয়ে আমি ভিসাই ছাড়া ঘুরেছি। যখন তারা শুনেছে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিনিধি তখনই তারা একটি শব্দ উচ্চারণ করত, ‘আচ্ছা আপনি যান’। ফরাসী ভাষায় বলত, আপনার কোন ভিসা লাগবে না। এ মুজিব স্ফূলিঙ্গ সমস্ত ইউরোপকে আচ্ছন্ন করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যে অনির্বাচিত স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকার অন্যায়ভাবে জেলে আটকে রেখেছিল সেটা ইউরোপ, জাপান অর্থাৎ গণতান্ত্রিক দেশগুলো মেনে নিতে পারেনি।
×