ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অঘোষিত বাস ধর্মঘট যৌক্তিক না অযৌক্তিক?

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৫ আগস্ট ২০১৮

অঘোষিত বাস ধর্মঘট যৌক্তিক না অযৌক্তিক?

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ গত ২৯ জুলাই রাজধানীর ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এখনও বিরাজ করছে উত্তাল পরিস্থিতি। ঘটনার পরদিন থেকে অঘোষিতভাবে শিক্ষার্থীরা দলে দলে রাস্তায় নেমে নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার দাবির ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা খোদ সরকার প্রধান থেকে আসার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে অঘোষিতভাবে শুরু হয়েছে বাস ধর্মঘট। স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারের বিভিন্ন মহল এটিকে যৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিমান বন্দর সড়কে যে দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এ প্রেক্ষিতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বানও জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও শিক্ষার্থীরা এ আহ্বান পুরোপুরিভাবে আমলে না নিয়ে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। উপরন্তু এ আন্দোলন ক্রমাগতভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শুরুতে শিক্ষার্থীদের আক্রোশের শিকার হবে এই আশঙ্কায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন রাস্তায় নামা বন্ধ করে দেয়। এতে করে যাত্রী দুর্ভোগ নেমে আসে। এ দিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক পরিলক্ষিত হওয়ায় নতুন আইন প্রণয়ন করে কঠোর শাস্তির বিধান আসছে এই আশঙ্কায় গত শুক্রবার থেকে অঘোষিতভাবে সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভয়াবহ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ একেবারে চরমে রয়েছে। বিষয়টি এমন স্পর্শকাতর যে, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাজপথে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতি সমব্যথীর মতো আচরণ করে যাচ্ছে। আচরণ যতই কোমলমতিদের জন্য কোমল হচ্ছে ততই যেন আন্দোলনের ব্যাপকতা বাড়ছে। ফলে সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের জন্য বিষয়টি রীতিমতো উভয় সঙ্কট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কেননা, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যেমন যৌক্তিক, তেমনি তাদের দাবি মেনে নেয়ার সরকারী ঘোষণা আসার পর তা অব্যাহত থাকার বিষয়টি অযৌক্তিক বলেই সরব আলোচনা চলছে। অপরদিকে, সড়ক ব্যবস্থাপনায় কঠোর আইন প্রণীত হচ্ছে এবং এতে যানবাহন চালক ও মালিকরা শাস্তির আওতায় আসবে এমন আশঙ্কায় আশঙ্কিত হয়ে শ্রমিকদের ব্যানারে মালিকদের ইন্ধনে অঘোষিত বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে সব রুটে বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের যে নিদারুণ দুর্ভোগ চলছে তা অবর্ণনীয়। সঙ্গত কারণে দুটি বিষয় এখন দেশজুড়ে জনমনে সরব আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষার্থীদের শুরু হওয়া আন্দোলনের প্রথম ভাগ অত্যন্ত যে যৌক্তিক তা সরকারসহ সর্ব মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু দাবি মেনে নেয়ার সরকারী ঘোষণার পর তা না মেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখার বিষয়টি অযৌক্তিক বলেই বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি আইন প্রণীত হওয়ার আগেই বাস ধর্মঘট অঘোষিতভাবে শুরু হওয়ায় তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে তারা আস্থাহীনতার কবলে রয়েছে বলেই এই ধর্মঘট। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, অতীতে বিভিন্ন সরকার নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে আইনীসহ নানা ব্যবস্থা কার্যকর করতে গিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে। ফলে প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে বিভিন্ন বিধি বিধান। প্রসঙ্গত, সারাদেশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা নৈরাজ্যকর যে পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে তা অস্বীকার করার জো নেই। সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলগুলো অব্যবস্থাপনায় মূলত এর জন্য দায়ী হলেও তা দিনের পর দিন চলে আসছে। ঢাকায় যে দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় প্রাণ হারিয়েছে এ ধরনের ঘটনা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ যে ঘটছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নামীদামী মানুষ থেকে শুরু করে সহায় সম্বলহীনসহ এমন বহু পরিবার রয়েছে যে যারা স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম বিক্ষোভ কম হয়নি। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর ঘটনা রোধে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে যত পদক্ষেপই নেয়া হয়েছে সবই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। এর একমাত্র কারণ যানবাহনের মালিক-শ্রমিকরা ঘোষিত বা অঘোষিতভাবে ধর্মঘট ডেকে যাত্রীদের জিম্মি করে দেশ অচল করে দেয়ার ঘটনা। এখানেই সরকারী ইতিবাচক উদ্যোগগুলো বারে বারে মার খেয়েছে। ঢাকায় দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনা মর্মন্তুদ। এর চেয়ে আরও মর্মন্তুদ ঘটনা ইতোপূর্বে বহু ঘটেছে। যার পরিসংখ্যান লিখে শেষ করা যাবে না হয়তো। বর্তমানে দুই শিক্ষার্থীর অপমৃত্যুর ঘটনার একদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, অপরদিকে অঘোষিত বাস ধর্মঘট। মাঝখানে রয়েছে সরকার। সরকার পক্ষে এ পর্যন্ত এ ঘটনা নিয়ে দ্রুত যা সিদ্ধান্ত ঘোষণা দিয়েছে সবই ইতিবাচক। যেহেতু রাতারাতি কোন দাবি মানা যায় না এবং সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বানকেই আমলে নেয়াই বাঞ্ছনীয় ছিল বলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। পাশাপাশি সমালোচিত হচ্ছে অঘোষিত বাস ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে। পর্যালোচনায় উঠে আসছে দুটি বিষয়ের নেপথ্যে অশুভ শক্তি ইন্ধন যোগাচ্ছে কী না? এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের তথ্য মতে, তা-ই ঘটতে শুরু করেছে। সরকারবিরোধীরা এ বিষয়ে সুযোগ নিতে শুরু করেছে। ইন্ধন দিয়ে শক্তি যোগাচ্ছে অঘোষিত আন্দোলন ও ধর্মঘট পালনকারীদের। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ও সরকারী- বেসরকারী মাধ্যমে উঠে আসছে ইন্ধন ও উস্কানিদাতাদের বিষয়টি। এ ঘটনা একেবারে শতভাগ যেমন সত্য নয়, আবার একেবারে অসত্যও নয়। বর্তমান সরকারবিরোধীরা এমনিতেই সরকারের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে লেগে আছে। ইতোপূর্বেও বহু ধরনের অঘটন ঘটিয়েছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। এখন ওই অপশক্তি বর্তমানে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অঘোষিত বাস ধর্মঘটে ইন্ধন যে যোগাচ্ছে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলগুলোর দ্বিমত নেই। মূলত, বিষয়টি এখন ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। এ দুটি ঘটনা অব্যাহত থাকলে এর পরিণতি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা আগেভাগে বলা মুশকিল। বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন সূত্র মতে, সরকার শুরু থেকে শিক্ষার্থী আন্দোলন নিয়ে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি সহনশীল মনোভাব নিয়ে এগোচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা তাদের ইন্ধনদাতারা সরকারের এই সহনশীল মনোভাবকে দুর্বল মনে করলে বড় ধরনের ভুল হিসেবেই ভবিষ্যতে স্বীকৃতি পাবে। অপরদিকে, অঘোষিত বাস ধর্মঘট শুরু করে দেয়ার নেপথ্যে যারা ইন্ধন যোগাচ্ছে বা যুগিয়েছে তাদের নিয়েও সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। সরকার পক্ষে এই দুটি বিষয়ে হার্ড লাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। কিন্তু অরাজকতা সীমা ছাড়িয়ে গেলে সরকারী অবস্থান হয়তো বা ভিন্নরূপে আবির্ভূত হতে পারে বলেও আলোচিত হচ্ছে। ঢাকায় দুই শিক্ষার্থীর অনাকাক্সিক্ষত মৃত্যুর পর নৌ পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য ও শোকের ঘটনা নিয়ে তার হাসির বিষয়টি প্রথমে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী শাজাহান খানকে এ নিয়ে তাঁর নেতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করেছেন। ফলে শাজাহান খান মিডিয়ার মাধ্যমে ক্ষুব্ধদের প্রতি দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছেন। এরপরও নৌ পরিবহনমন্ত্রীকে নিয়ে বিদ্রুপাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখনও ভাইরাল হয়ে আছে। এ দিকে, দেশজুড়ে আলোচনা রয়েছে যানবাহন শ্রমিক-মালিক সংগঠনগুলোতে নৌমন্ত্রীর বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, নৌমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ জনরা যানবাহনের মালিকানায় রয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি নিজে সরকার সমর্থিত শ্রমিক ও মালিক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বেও রয়েছেন। তার ইশারাতে ইতিবাচক বা নেতিবাচক উভয় ঘটনা অতীতে যে ঘটেছে তার অলিখিত প্রমাণ রয়েছে। সঙ্গত কারণে একদিকে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর অনাকাক্সিক্ষত বক্তব্য দিয়ে এবং পরবর্তীতে বাস ধর্মঘট শুরুর ঘটনায় এই মন্ত্রীই সবচেয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়ে আছেন। যে কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। আবার তিনি পদত্যাগ করার বিষয়টি নিজেই নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বললেই তিনি পদত্যাগ করবেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বন্দুকটি সরকারের কাঁধে চড়িয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত বলে মনে করছেন উৎস্যুক মহল। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ইতোমধ্যেই ৬ দিন পেরিয়ে গেছে। ৬ষ্ঠ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অঘোষিত বাস ধর্মঘটের অবসান হয়নি। আজও হয়তো দুটি বিষয় অব্যাহত থাকবে। কাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ সংক্রান্ত আইনের খসড়াটি অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অনুমোদিত হলে এবং এতে যে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যানবাহন চালক, শ্রমিক ও মালিকদের দিয়ে কঠোর আইন আসছে তা নিয়ে যানবাহন মালিক ও শ্রমিকরা আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সরকারের জন্য সুফল বয়ে আনার কোন পথটি খোলা আছে তা নিয়ে হলফ করে এই মুহূর্তে কোন সূত্রই কিছুই বলতে পারছে না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং অঘোষিত বাস ধর্মঘট নিয়ে সরকার যদি হার্ড লাইনে যায় তাহলে কী হবে। আর যদি সহনশীল মনোভাবের অবস্থানে থাকে তাহলে অরাজকতা কোন পর্যায়ে পৌঁছবে তা নিয়েও নানা আলোচনার ডালপালা বিস্তৃতি লাভ করছে। এসব বিষয়ের মাঝে নতুন কিছু ঘটনা সংযুক্ত ইতোমধ্যে হয়েছে এবং সেটিও বিস্তার লাভ করছে। অর্থাৎ সরকারবিরোধী অপশক্তিগুলো এতে ইন্ধন যেমন যোগাচ্ছে, তেমনি পৃষ্ঠপোষকতাও করছে বলে বহুল আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার পক্ষেও ইতোমধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে-অপশক্তিগুলো এ ঘটনা নিয়ে সুযোগ খুঁজছে। যদি তাই হয় তাহলে অপশক্তি দমানোর বিষয়ে সরকার যে কঠোর অবস্থানে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এতে করে অনাকাক্সিক্ষতভাবে শিক্ষার্থীদের এখনও যে আন্দোলন চলছে তা অযৌক্তিক বলে যেমন স্বীকৃতি পাবে, তেমনি কোন শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা নিয়েও আন্দোলন ভিন্নরূপে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। নতুন সমালোচনায় পড়বে সরকার। সঙ্গত কারণে স্পর্শকাতর এ দুটি বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল কোন পথে এগোনোর পথ বেছে নিচ্ছে তা একমাত্র তাদেরই জানা। তবে ইতোমধ্যেই সরকার পক্ষে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তাদের মতামত রিপোর্ট সহকারে প্রাথমিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি যখন পুরোদমে এগিয়ে চলছে এবং এর বিপরীতে বিএনপি ও এর নেতৃত্বাধীন দলগুলো সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে সে মুহূর্তে বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত।
×