ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

গাইবান্ধায় পাওনা টাকার জন্য যুবক খুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৫ জুলাই ২০১৮

গাইবান্ধায় পাওনা টাকার  জন্য যুবক খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৪ জুলাই ॥ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারের স্টেশন রোডের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রসংলগ্ন এলাকায় আব্দুর রহমান বানু (৪০) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মশিউর রহমানের বাড়িতে পাওনা টাকা নিতে এসে সে ওই বাড়িতে খুন হয়। নিহত বানু উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত আয়েজ উদ্দিনের ছেলে। বানুকে হত্যা করা হয়েছে এই অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মশিউর রহমানের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, বানু মিয়ার কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে মহিমাগঞ্জ স্টেশন রোডের বাসিন্দা রংপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মোজাফ্ফর রহমানের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মশিউর রহমান ব্যাংকে চাকরির প্রলোভন দিয়ে ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু মশিউর চাকরি না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে। এ বিষয়ে একাধিকবার সালিশ হয়। তখন মশিউর রহমান বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম দফায় বানুকে ১ লাখ টাকা ফেরত দেয়। শুক্রবার বাকি টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে বানুকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনা হয় মশিউরের মহিমাগঞ্জের বাড়িতে। এরপর শনিবার সকালে বানুর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দেয়াল সংলগ্ন মশিউরের বাড়ির পেছনের ঘরের চালার সঙ্গে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা এসে বানুর মৃতদেহ শনাক্ত করে। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে চিৎকার করে তারা অভিযুক্তের বাড়িঘর ভাংচুর শুরু করে। এরই একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা পেট্রোল দিয়ে ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ও সোনাতলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মশিউর রহমানের বাড়ির লোকজন এখন গা ঢাকা দিয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুজিবুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। পাওনা টাকার দ্বন্দ্বে এই হত্যাকান্ড না অন্য কোন ঘটনা আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। . কিশোরগঞ্জে পিকআপ চালক নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, জামাল মিয়া (২৮) নামের পিকআপ ভ্যানচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে। শনিবার সকালে থানা পুলিশ কিশোরগঞ্জ শহরের বড়পুলের পুরাতন বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভিং সিটে বসা অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পিকআপ ভ্যানটি নিহত জামাল মিয়া ও সদরের লতিবাবাদ এলাকার মাহবুব নামে আরেক চালক যৌথভাবে চালাতেন। শুক্রবার বিকেলে তারা একটি চালের ভাড়া নিয়ে নারায়ণগঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে শনিবার ভোরে কিশোরগঞ্জে ফেরেন। পরে মাহবুবকে বাড়িতে রেখে জামাল শহরের বড়পুলের পুরাতন বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিকআপের ড্রাইভিং সিটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় ড্রাইভিং সিটে বসা অবস্থাতেই জামাল আততায়ী হামলার শিকার হন। পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের ফলে ড্রাইভিং সিটেই জামালের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তার লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালক জামাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। . সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, মহানগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় মনি আক্তার (২৩) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টায় পুলিশ রুহুল আমিনের ভাড়া ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশের ধারণা ওই গৃহবধূকে গত বুধবার শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ ঘরের ভেতরে রেখে তালা দিয়ে স্বামী রিপন মিয়া পালিয়ে যায়। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মিজমিজি বাতানপাড়ার রুহুল আমিনের ভাড়া ঘরের একটি কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ গিয়ে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মনি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুল হক জানান, ধারণা করা হচ্ছে গত বুধবার গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার লাশ তালাবদ্ধ ঘরে রেখে স্বামী পালিয়ে যায়। নিহত মনি আক্তারের স্বামীর নাম রিপন মিয়া। সে সিএনজি চালক। মনি আদমজী ইপিজেডের ফ্যাশন সিটি নামে একটি পোশাক কারখানায় মেশিন অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। তিনি আরও জানান, মনি আক্তার ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার গন্ডা এলাকার তৈয়ব আলীর মেয়ে। . নাটোরে নারী নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, নলডাঙ্গায় নার্গিস আক্তার আনু (৩৮) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের স্কুলপাড়ায় নিজ শয়ন ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত নার্গিস আক্তার (৩৮) ওই গ্রামের সোলেয়মান প্রামাণিকের মেয়ে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসী জানান, নিহত নার্গিস আক্তার ছোট বেলা থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে রাতের খাবার খেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা নার্গিস আক্তার দালান বাড়ির দোতলায় নিজ শয়নঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। শনিবার সকালে ঘরের দরজা অনেক বেলা পর্যন্ত বন্ধ দেখে পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করে। কিন্তু তাতে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
×