ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লবীতে ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ জুলাই ২০১৮

  পল্লবীতে ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ধাওয়া খেয়ে পড়ে গিয়ে এক সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর পল্লবীতে সাদিকুল ইসলাম শিপন (২৩) নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। শিপন পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তার বাবার নাম কুদ্দুস মিয়া। তিনি পল্লবীর বারনটেকে সপরিবারে থাকতেন। পল্লবী থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির জানান, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি শিপন। ওসি জানান, রাত আড়াইটায় বাসার সামনের গলায় তার পেঁচানো শিপনের মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। তার মরদেহ ঘরের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে শুক্রবার ভোরেরদিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওসি জানান, শিপনের গলায় দাগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কেউ তাকে শ্বাসরোধ হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে। এটি পারিবারিকভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। নাকি অন্য কোন কারণে। ওসি দাদন ফকির জানান, এ ঘটনার দিকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু ॥ উত্তরখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর ধাওয়া খেয়ে পড়ে গিয়ে কাজী আব্দুল্লাহ (৫২) নামে সরকারী কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে মেইনটেন্যান্স সেকশনে চাকরি করতেন। তার স্ত্রী স্থানীয় স্কুলের শিক্ষিকা। নিহতের ছোট ভাই শামছুল আলম জানান, উত্তরখানের জামতলা মধ্যপাড়ার ৫৯৪/১ নম্বর হোল্ডিং তাদের বাসা। শুক্রবার সকালে প্রতিবেশী কামাল একটি গাছ কেটে তাদের বাসার সামনে রাখেন। এতে রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কামাল দা নিয়ে আব্দুল্লাহকে ধাওয়া করেন। আত্মরক্ষার্থে দৌড়ে পালাতে গিয়ে তিনি পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষাণা করেন। নিহতের ছোট ভাই শামছুল আলম অভিযোগ করেন, কামাল আমার ভাইকে হত্যা করেছে। কামাল দা নিয়ে ধাওয়া দেয়ার কারণেই তো ভাই মারা গেছেন। আমি এর বিচার চাই। মৃত কাজী আব্দুল্লাহ দুই সন্তানের জনক ছিলেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবু মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য তার লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
×