ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গীবাদ ঠেকাতে এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ জুন ২০১৮

জঙ্গীবাদ ঠেকাতে এনজিওগুলোকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। জঙ্গীবাদ ঠেকাতে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে (এনজিও) কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এনজিওসমূহ যাতে কোন প্রকার জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত হতে না পারে সেজন্য এনজিওবিষয়ক ব্যুরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। মন্ত্রী জানান, এনজিওসমূহ থেকে নিবন্ধনের আবেদন প্রাপ্তির শুরু হতেই উক্ত সংস্থার দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করা হয়। আবেদনকারী এনজিও এবং উক্ত এনজিওকে অর্থায়নকারী দাতা সংস্থা কোন ধরনের জঙ্গী অর্থায়ন এবং মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কি না তা যাচাইয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত গ্রহণ করা হয়। মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রকল্প প্রস্তাবে জঙ্গী অর্থায়ন এবং মানি লন্ডারিং কাজে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করা হয়নি মর্মে এনজিওসমূহকে ঘোষণা প্রদান করতে হয়। এ সংসদে ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবরে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ পাস করা হয়েছে। উক্ত আইনের ১৪ ধারায় জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট ধারা রয়েছে। মন্ত্রী জানান, এছাড়াও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ প্রণয়নের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ২ হাজার ৬১৩টি এনজিও নিবন্ধিত আছে।
×