ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্মিত হচ্ছে বিশেষ তথ্যচিত্র ‘মাটির প্রাণ’

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ২৪ জুন ২০১৮

নির্মিত হচ্ছে বিশেষ তথ্যচিত্র  ‘মাটির প্রাণ’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি নির্মিত হচ্ছে বিশেষ তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রাণ’। পারটেক্স এগ্রো লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা রিয়াজুল রিজু। গত ২১ জুন থেকে ঢাকার অদূরে টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন মনোরম লোকেশনে তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের কাজ চলছে। কারুকাজ প্রোডাকশন থেকে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন তির্থক আহসান রুবেল। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন, ঢাকাই চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য অভিনেতা কায়েস আরজু, মিহি আহসান, হারুন রশিদ, নাট্য নির্মাতা রাজু খান, তাসলিমা মুক্তা, সাজু মাহাদী, আশরাফুল আশীষ, সেলজুক তারিক, মুন্না আহসান, তরঙ্গ আনোয়ার, জহির সংকেত, ইরাসহ আরও অনেকে। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী মেহেদী রনি, প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে রয়েছেন আর কে সরকার (রকি)। তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্রটি আগামী মাসে আনুষ্ঠানিক প্রথম প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে দেখানো হবে। এ প্রসঙ্গে নির্মাতা রিয়াজুল রিজু বলেন, বাঙালীদের প্রধান চালিকা ক্ষেত্র কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে এই তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করছি। সরাসরি কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোর দ্বারা দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণ করাই এই চলচ্চিত্রটির প্রধান উদ্দেশ্য। যা পৃষ্ঠপোষকতা করছে পারটেক্স এগ্রো লিমিটেড। চিত্রনায়ক কায়েস আরজু বলেন, গল্পটি খুবই সুন্দর। অন্যদিকে রিজু ভাই-এর সঙ্গে অনেকদিন যাবতই কাজ করার ইচ্ছে থাকলেও ব্যাটেবলে মিলে উঠেনি, তবে এবার আমি সাকসেস। টিমটি খুবই ভাল, যার ফলে কাজটি সুন্দর হচ্ছে। আশা করছি দর্শকদের ভাল লাগবে। চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে সিংজুড়ি গ্রামে ২ বছর যাবত ফসল উৎপাদন হচ্ছে না, এতে গ্রামের সকল কৃষকের বাড়িতেই হাহাকার। একপর্যায়ে পুরো এলাকাটিতেই দেখা দেয় খাদ্যের ঘাটতি। কৃষকরাসহ পুরো এলাকার লোকজনই দিশেহারা হয়ে যায়, কি করবে বুঝতে পারে না। একবার যায় চেয়ারম্যানের কাছে, একবার কবিরাজ, পাগলা বাবা বিভিন্ন জায়গায় যায় তবুও কোন সমাধান পায় না। এ অবস্থা থেকে তুলে আনার জন্য উপজেলায় নতুন কৃষি অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। কৃষি অফিসার যোগদান করে প্রথম দিনই চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সকল কৃষককে ডাকে সমাধান বের করে দেয়ার উদ্দেশে। কৃষি অফিসার কৃষকদেরকে জানান, মাটির খাদ্যের অভাবে মাটির জীবন শেষের দিকে, যার ফলে সে ঠিকভাবে ফলন দিতে পারছে না। তাই মাটিতে তার প্রয়োজনীয় খাদ্য দিতে হবে। কৃষকরা খাদ্য কি হতে পারে জানতে চাইলে কৃষি অফিসার বলেন, মাটির প্রাণ বাঁচাতে মাটির শ্রেষ্ঠ খাদ্য হচ্ছে, পারটেক্স এগ্রো লিমিটেডের সুপার গ্রীন ফিল্ড মাটির প্রাণ। এমনই একটি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রাণ’।
×