ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিকল্পপথে ইন্টারনেট সরবরাহ হয়েছে, আজ স্বাভাবিক হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৫ মে ২০১৮

বিকল্পপথে ইন্টারনেট সরবরাহ হয়েছে, আজ স্বাভাবিক হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৪ ভারতের চেন্নাইতে ‘রিপিটার’ পরিবর্তনের কাজ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হয়ে যাবার কথা। রিপিটার পরিবর্তনের জন্য গত ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত বাংলাদেশসহ সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ বন্ধ ছিল। এ কয়দিন ইন্টারনেটের গতি ঠিক রাখতে বিকল্প পথে ইন্টারনেট সরবরাহ দেয়া হয়েছে। বিএসসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বৃহস্পতিবার জানান, আজ মধ্য রাত থেকে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে। তবে আমরা বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলছি না। পরিবর্তন করা রিপিটারে আবার যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে না। এ কারণে আমরা বলছি অল্প সময়ের মধ্যে ইন্টারনেটের গতি ঠিক হয়ে যাবে’। গত ১৮ মে থেকে চেন্নাইতে সি-মি এসইএএমইডব্লিউই-৪ ক্যাবলটির একটি রিপিটার পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়। এ কারণে কক্সবাজার-চেন্নাই-সিঙ্গাপুর পথটি বন্ধ রয়েছে। তবে ক্যাবলটির পশ্চিম অংশ বন্ধ থাকলেও পূর্ব অংশ দিয়ে কিছু ব্যান্ডউইথ পাওয়া গেছে। একেবারে ক্যাবলটি বন্ধ হয়ে যায়নি। বিএসসিসিএল বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে কক্সবাজার-ব্যংকক-সিঙ্গাপুর পথে। একইভাবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা বাড়িয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারত থেকে স্থলপথে ব্যান্ডউইথ আনতে ছয়টি আন্তর্জাতিক টেরিস্টোরিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) চালু রয়েছে। ফলে দেশে ব্যান্ডউইথের খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনের তুলনায় কিছু কম ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাচ্ছে। বিএসসিসিএল সূত্র জানিয়েছে, কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সরবরাহ ২৫০ জিবিপিএসর জায়গায় বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জিবিপিএস। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে বলে জানিয়েছে-বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) জানিয়েছে। ক্যাবলের কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ভারতের চেন্নাই পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ইন্টারনেট ডাটা সঞ্চালন ১৮ মে থেকে বন্ধ ছিল। তবে ব্যান্ডউইথের সরবরাহ ঠিক রাখতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৫) সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। একই সঙ্গে কয়েকটি বিকল্প পথে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ সরবরাহ চালু রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ১৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়। এখন আপৎকালীন সময়ে বাড়িয়ে ২৪০ জিবিপিএস করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বিএসসিসিএলের দুটি সাবমেরিন ক্যাবল থেকে এখন ৩২০ থেকে ৩৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ আসছে। স্বাভাবিক সময়ে বিএসসিসিএলের বর্তমান ব্যান্ডউইথ সরবরাহ ক্ষমতা ৪০০ জিবিপিএস। সারা দেশে এখন দৈনিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাহিদা ৬০০ থেকে ৬৫০ জিবিপিএস। ভারত থেকে আইটিসি অপারেটরদের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ চাহিদার বাকিটা পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) কক্সবাজারের জিলং পর্যন্ত (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ল্যান্ডিং স্টেশন) এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৪ ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসছে। দ্বিতীয় সি-মি-উই-৫ ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ (ব্যাকআপ) দেয়া হচ্ছে। এসইএ-এমই-ডাব্লিউই-৪ (সাউথ এশিয়া-মিডেলিস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ) মালিক হচ্ছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, মিশর, ইতালী, তিউনিশিয়া, আলজিরিয়া ও ফ্রান্স। সিমিউই-৫ এর মালিক হচ্ছে, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মালিকও এই ১৬টি দেশ।
×