ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হায়, গণজাগরণ মঞ্চের তরুণরা কোথায়?

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ২২ মে ২০১৮

হায়, গণজাগরণ মঞ্চের তরুণরা কোথায়?

এখন, এ সময়ে অদ্ভুত এক তরুণের দলকে দেখে মনটা কেঁদে উঠল সেই জাতিকে ঝাঁকুনি দিয়ে জাগিয়ে তোলা গণজাগরণমঞ্চের তরুণ-তরুণীদের জন্য। সেই অপূর্ব শিহরণ জাগানো স্লোগানÑ‘জয় বাংলা’কে স্ব-মহিমায় ফিরিয়ে আনার জন্য ওদের কাছে আমরা ’৭১-এর প্রজন্ম ঋণী। সেই ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি কাদের মোল্লার ফাঁসি হলো না জেনে আমরা ক্ষুব্ধ। কি করব, বুঝতে পারছি না। এমন সময় কেউ খবর দিল শাহবাগে তরুণ-তরুণীদের একটি দল জমায়েত হয়েছে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে। তাড়াতাড়ি হাজির হলাম শাহবাগে। ততক্ষণে শাহবাগে তরুণ-তরুণীর দল জমায়েত হয়েছে। ওরা স্লোগান দিতে শুরু করল, সেই ’৭১-এর যুদ্ধের বিজয় ধ্বনি জয় বাংলা এবং আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি তুলে শাহবাগ চত্বরকে প্রকম্পিত করে তুলেছে। এমন ঘটনা কোনদিন ঘটবে এ কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। নতুন প্রজন্মকে দেশের, জাতির জন্য এতখানি নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে দেখব তা তো ভাবিইনি। ফেব্রুয়ারি থেকে পরের তিন মাস তো ওরা ইতিহাস গড়েছে। জন্ম দিয়েছে গণজাগরণমঞ্চের। পাশাপাশি দেশের সব জেলায় এ মঞ্চের স্থানীয় শাখা গড়ে উঠেছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যেও গণজাগরণমঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের দ্বারা গড়ে উঠেছে। সর্বত্র ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের না হওয়া বিচার এবং বিচারে সর্বোচ্চ দ- দেয়ার একমাত্র দাবি হয়ে উঠেছে। ফলে সরকারের পক্ষে, ট্রাইব্যুনালের পক্ষে এই গণদাবি ওঠার ফলে তাদের কাজটিকে অনেকটাই সহজসাধ্য করে তুলেছিল। একের পর এক জামায়াতের নেতৃস্থানীয় রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী নেতাদের গ্রেফতার, বিচার ও সর্বোচ্চ দ-ে দ-িত করে ইতিহাসের একটি বড় দায়িত্ব সম্পন্ন করার কাজ শুরু হলো। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের রাজাকারদেরও বিচার করা শুরু হলো। লক্ষ নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, কিশোর, শিশুর জমায়েত এবং তাদের অত্যন্ত সৃজনশীল কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ওরা তিন মাস জাতিকে বিরল একটি জাতীয় গৌরবে গর্বিত করেছিল। ওরা এ কথা প্রমাণ করেছিল- সত্য একদিন মিথ্যার ধুলার আড়াল থেকে উঠে দাঁড়ায় এবং অপরাধী চিরদিন মুক্ত থাকতে পারে না। একদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হয়ে দ-িত হতে হয়। আজ দেখতে পেলাম এর বিপরীত এক চিত্র। আরেক দল তরুণ-তরুণীকে দেখলাম, যারা বিসিএস পরীক্ষায় কোটা বাতিলের দাবিতে রাজপথে নেমে এসে পুরো ঢাকা শহরকে একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর যানজটে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা শুনেও পুনরায় শাহবাগসহ বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে গেজেট প্রকাশের দাবি করছে। গণজাগরণের সমাবেশে শাহবাগ চত্বরে এই কোটাবিরোধী তরুণ-তরুণীরা কি গণজাগরণের জেলা মঞ্চে, ঢাকার মঞ্চে একদিনও উপস্থিত ছিল না? গণজাগরণের সমাবেশ বিশাল হলে কিন্তু যান চলাচল ভিন্ন রাস্তা ধরে চলত। ফলে ঢাকা শহরে ওই তিন মাস শাহবাগ মোড়ে এত বড় বড় সমাবেশ হওয়া সত্ত্বেও যান চলাচলে কোন বিঘœ ঘটতে দেখিনি। স্কুল-কলেজ-অফিস-আদালত-কলকারখানা সবই ঠিকমতো চলেছে। যেহেতু গণজাগরণ মঞ্চের তরুণ-তরুণীরা শাহবাগ মোড়েই একমাত্র অবস্থান করেছে। অন্যান্য মোড় ও রাস্তা খোলা ছিল, সে কারণে কোন যানজট হয়নি। কোটাবিরোধীরা পুরো শহরের সব রাস্তাঘাটে নেমে অচল করে দিয়েছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনের রাজপথের মোড় বা চৌরাস্তাগুলো বন্ধ করে দাঁড়াতে দেখেছি, যা তাদের চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, অনাগরিকসুলভ আচরণ। রাজধানীতে যেখানে প্রতিদিন বহু কারণে বহু বিদেশীর আগমন হয়, সেখানে তাদের এই কা- দেখে তারাও যানজটে নাকাল হয়ে প্রশ্ন করেছেÑ এ কেমন শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী যারা নিজ দেশের রাজধানীকে অচল করছে? পুরো শহরবাসীকে জিম্মি করছে? তাদের প্রশ্ন- এরা নিজেদের শ্রেণীকক্ষে লেখাপড়া থেকে বিরত রেখে কাদের ক্ষতি করছে? নিজেদেরই নয় কি? পরীক্ষা না দেয়ার ফল কি ছাত্র-ছাত্রী ছাড়া অন্য কেউ ভোগ করে? স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছেÑ এরা কারা? কেন গণজাগরণমঞ্চের তরুণ-তরুণীদের বিপরীতধর্মী? কি এদের পারিবারিক ও রাজনৈতিক পটভূমি? মতিয়া চৌধুরীর ক্ষোভের প্রকাশ এবং ছাত্রদের বুকে ‘আমি রাজাকার’Ñএই ঘৃণ্য স্বীকারোক্তি কি ইঙ্গিত দিচ্ছে? ‘রাজাকার’ শব্দটা, এই মানুষগুলো জাতির কাছে এতটাই ঘৃণ্য যে, হুমায়ূন আহমেদ প্রথম অত্যন্ত সুন্দর প্রতীকী গালি হিসেবে তাঁর একটি নাটকে টিয়া পাখির কণ্ঠে প্রকৃত রাজাকারকে ‘তুই রাজাকার’ বুলি শুনিয়ে একটি জাতিকে ’৭১-এর ‘রাজাকারদের’ নির্মম হত্যাযজ্ঞ, জাতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতামূলক ঘৃণ্য ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন রাজাকার-মিত্রদের শাসনকালে। এ জাতির গর্বিত তরুণরা স্বাধীনতার জন্মদানকারী শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে। তাদের উত্তরসূরি হিসেবে যখন গণজাগরণমঞ্চের সংগঠকরা নিজেদের দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিল, যখন ’৭১-এর ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার কবিরসহ অন্য নেতাদের হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা গ্রহণ করেছিল, তখন মনে হয়েছিল আকাশ থেকে শহীদ বঙ্গবন্ধু, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল, কামরুজ্জামান, মনসুর আলীসহ লাখো লাখো শহীদ, হিন্দু-মুসলিম, নারী-পুরুষ, শিশু নতুন প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধাদের আশীর্বাদস্বরূপ পুষ্পবৃষ্টি করছিল। বাঙালীর এই বর্তমানের নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা ‘আমি বঙ্গবন্ধু’, ‘আমি তাজউদ্দীন’, ‘আমি খালেদ মোশাররফ’ পোস্টারে বুক অলঙ্কৃত করে তাদের কোটা সংস্কার দাবি জানালে কি যথার্থ হতো না? অবশ্য এরা কারা ছিল অথবা কোটাবিরোধী আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে এতে জামায়াত-শিবির-বিএনপিপন্থী ছাত্র-অছাত্রদের যোগ দেয়ার প্রবল প্রমাণ তো ভিসির বাড়ি ভাংচুর, ভিসির ওপর সম্ভাব্য হামলা-হত্যাচেষ্টার মধ্যেই নিহিত আছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যÑ ‘ওরা যখন কোটা চায় না, তাহলে কোন কোটাই থাকবে না’Ñ একটি উচ্চ সরকারী মহলের সিদ্ধান্ত বলে ধরে নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে, কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাবে এবং পড়াশোনা করবে, পরীক্ষা দেবে। যেগুলো বর্জন করলে তারাই অন্যদের চাইতে পিছিয়ে পড়বে, বয়স বেড়ে যাবে, একটি বিসিএস পরীক্ষা মিস হয়ে যাবে, এসব তারা ভেবেছে কিনা সন্দেহ। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ-তরুণীরাই তো পিছিয়ে পড়বে। হয়ত যারা এসব প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নেবে না, নেয়ার যোগ্যতা নেই, প্রতিযোগিতায় টিকবে নাÑ তারা যারা প্রকৃত মেধাবী এবং মুক্তিযুদ্ধপন্থী তাদের স্বার্থ বিঘিœত করার কাজটি করছে, এ আশঙ্কা করি। সেদিন জানলামÑ একটি মেধাবী ছেলের অমেধাবী বন্ধুর চালাকির চালে ফেঁসে গিয়ে লক্ষাধিক টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ওই ছেলের ব্যবসায়িক পার্টনার হয়ে এখন দেখছে এসব প্রকৃত ব্যবসা নয়। এখন সে মেধাবী হয়েও অমেধাবীর চালাকির কাছে হার মানল কেন, এটা আমাদের প্রশ্ন। যার কোন সদুত্তর ওই হতবিহ্বল ছেলের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধপন্থী তরুণরা অবশ্যই কারও অসৎ উদ্দেশ্যের নেতৃত্বকে বোঝার বুদ্ধি রাখবে এবং প্রত্যাখ্যান করবে, মারামারি করে নয়। আসলে আমাদের খুব প্রয়োজন ছিলÑ জাতীয় রাজাকারের তালিকা তৈরি। ২০০৮-এর নির্বাচনের আগে আমরা যখন বিভিন্ন জেলা সফর করে সভা-সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাপন্থী ব্যক্তি ও দলকে, জোটকে ভোট কেন দিতে হবে সেটি পরিষ্কারভাবে জনগণকে বোঝাচ্ছিলাম, তখন কুষ্টিয়া পৌঁছালে ওখানকার জেলা কমিটির নেতা এ্যাডভোকেট বায়েজিদ আক্কাস আমাদের নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের একটি কেন্দ্রস্থলে তাঁর নির্মিত রাজাকারের তালিকা ও ঘৃণা স্তম্ভ উদ্বোধন করেছিলেন। সম্ভবত বাংলাদেশে এটিই প্রথম রাজাকার তালিকা এবং ঘৃণা স্তম্ভ। তবে বলতে দ্বিধা নেই, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোজাম্মেল হক এবার রাজাকারমুক্ত সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কথা দিয়ে আজ দীর্ঘ নয় বছর ধরে বারংবার প্রণীত তালিকায় রাজাকারের নাম থাকার অভিযোগ জানতে পারছি এবং তার ওপর ক্ষুব্ধ হচ্ছি। এখন মনে হয় মন্ত্রীকে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা করা সম্ভব হবে না। নির্বাচনের আর সাত মাস বাকি। এ সময়ে এ কাজ আর করতে সক্ষম হবেন না তিনি। এ কাজটি করার কথা অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের। যদিও তারা নিজস্ব উদ্যোগে এটি করতে পারত, দীর্ঘ সাতচল্লিশ বছর চলে গেছে, কিন্তু করেনি। এখন আমরা জাতীয় রাজাকারদের জেলাওয়ারি একটা তালিকা দেখতে চাই। মোজাম্মেল হক সাহেব সাত মাসে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন করুন। আমাদের ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী বিচারের ট্রাইব্যুনাল যাতে প্রণীত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে জেলার বড় মাপের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সোপর্দ করতে পারেন। রাজাকারের তালিকায় নাম লেখানোর জন্য কোন চাপ, চেষ্টা, তদ্বির, অর্থ আদান-প্রদান থাকবে নাÑ এটা নিশ্চিত বলা যায়। কেউ আমি রাজাকার তা বলবে না। তাহলে ‘আমি রাজাকার’ পোস্টার বহনকারী হয়ত প্রকৃত রাজাকারের সন্তান রাজাকার সেসব সন্তানের পরিচিতি সহজেই অনুসন্ধান করা হলে তালিকা করাও সহজসাধ্য হবে বলে মনে হয়। এ কাজটি অন্যান্য কাজেও সহায়ক হবে। যেমন, জামায়াতের বড় রাজাকারদের ছেলে, মেয়েদের পরিচিতি এবং সম্পত্তির পরিমাণ খোঁজ করা সহজ হবে, যা রাষ্ট্রের ‘শত্রুসম্পত্তি’ বিবেচনা করে বাজেয়াপ্ত করা সহজ করে দেবে। সরকারকে একটি ’৭১ যুদ্ধাপরাধীদের শত্রু গণ্য করে তাদের সম্পদকে শত্রুসম্পত্তি গণ্য করার, বাজেয়াপ্ত করার আইন প্রণয়ন করতে হবে। এই আইনটির দাবি আমাদের অনেক দিনের। মনে হয় এই নতুন ‘শত্রুসম্পত্তি আইন’ প্রণীত হলে যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নিজেদের জজ, ব্যারিস্টার হওয়া, প্রশাসনে প্রবেশ এবং দেশে জামায়েতের ওহাবী জেহাদী মতাদর্শে দীক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রজন্মের আলবদরপন্থী যুদ্ধাপরাধীর জন্ম বন্ধ করা যেতে পারে। বলা বাহুল্য, আমাদের নতুন প্রজন্মের যুদ্ধাপরাধীর মোকাবেলা করতে হচ্ছে, যা আমাদের জামায়াত-মিত্র জিয়া, খালেদা জিয়া-তারেকের উত্থানের ফল হিসেবে গণ্য করতে হবে। এর উৎসমুখ জামায়াত-মিত্রতার অপরাজনীতির মূলোৎপাটন করতে হবে সে যাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ’৭১-এর মৃত, পরাজিত, হিংসা, হত্যা, বিদ্বেষের অপরাজনীতি জল-সার লাভ করে নতুন নতুন চারাগাছের জন্ম নিতে না পারে। বহুদিন আগে, সিনেমা হলে ‘স্পার্টাকাস’ চলচ্চিত্রটি দেখছিলাম। বিদ্রোহী দাসদের বন্দী করে আনা হলে যখন প্রশ্ন করা হলোÑ ‘কে স্পার্টাকাস? তোমাদের মধ্যে সে কে? তখন একের পর এক বন্দী উঠে দাঁড়িয়ে বলছে- আই এ্যাম স্পার্টাকাস। আই এ্যাম স্পার্টাকাস।’ রাজার লোক ধাঁধায় পড়ে গেল। দর্শক আমার চোখ জলে ভেসে গেল। তরুণ প্রজন্মকে বলব, বলো, ‘আমিই যুক্তিযোদ্ধা’, ‘আমিই শেখ মুজিব’। দেখবে তুমি, তোমার হৃদয়ে এক মানবিকতায়নতন্ত্র কিন্তু দীপ্র গর্ববোধ জেগে উঠছে। তোমাদের জন্য উজ্জ্বল যাত্রাপথ তো বঙ্গবন্ধু এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা, বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ বহুজন তৈরি করে দিয়েছেন। সে পথে পা রাখ, অর্জন কর বিজয়, তোমার জন্য, জাতির জন্য, দেশের জন্য। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×