ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রেকর্ডের পথে বার্সিলোনা হার রিয়াল মাদ্রিদের

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১১ মে ২০১৮

রেকর্ডের পথে বার্সিলোনা হার রিয়াল মাদ্রিদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিস্ময়কর রেকর্ড গড়ার পথেই এগিয়ে চলেছে বার্সিলোনা। ইতোমধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করা কাতালানরা বুধবার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ৩৬তম রাউন্ডের ম্যাচেও সহজ জয় পেয়েছে। ঘরের মাঠ ন্যুক্যাম্পে বার্সা ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অতিথি ভিয়ারিয়ালকে। স্প্যানিশ ফুটবলের রীতি অনুযায়ী আগেই শিরোপা নিশ্চিত করা লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজদের ম্যাচের আগে ‘গার্ড অব অনার’ দেয় ভিয়ারিয়াল। বাকি দুই ম্যাচে লেভান্তে ও রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই ৩৮ ম্যাচের লা লিগায় প্রথম দল হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়বে আর্নেস্টো ভালভার্ডের দল। আরেক ম্যাচে আবারও হারের স্বাদ পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক সেভিয়ার কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের হ্যাটট্রিক শিরোপার আশায় থাকা গ্যালাক্টিকোরা। ঘটনাবহুল ও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের পুরোটাই স্পটলাইটে ছিলেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার নিজ দলের পক্ষে ছাড়াও গোল করেছেন সেভিয়ার হয়ে। মানে তাদের একটি গোল উপহার দিয়েছেন আত্মঘাতী থেকে। এছাড়া পেনাল্টি মিস করেছেন; দেখেছেন হলুদ কার্ড। বর্তমানে ৩৬ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ৭২ পয়েন্ট। অবস্থান তিনে। আর ২৭তম জয় পাওয়া চ্যাম্পিয়ন বার্সিলোনার পয়েন্ট ৯০। ষষ্ঠ স্থানে থাকা ভিয়ারিয়ালের পয়েন্ট ৫৭। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে খেলা বার্সা ম্যাচের ১১ মিনিটে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে যায়। মিনিট পাঁচেক পর আবারও গোল হজম করে অতিথিরা। এবার বার্সার হয়ে গোল করেন আরেক ব্রাজিরিয়ান পাউলিনহো। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ইনিয়েস্তার সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় গোল করেন মেসি। বিরতির পর ম্যাচের ৫৪ মিনিটে গোল পায় ভিয়ারিয়াল। সেনসোনের গায়ে লেগে যে গোল হয়েছে সেটা অনেকটা ভাগ্যের জোরেই হয়েছে বলা যায়। সতীর্থ খেলোয়াড়ের বুলেটগতির শটের সামনে থেকে সরে জায়গা করে দিতেই সেনসোনের গায়ে বল লাগে (৩-১)। এরপর আর গোলের দেখা পায়নি ভিয়াররিয়াল। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে অসাধারণ দুই গোল করে দলকে ৫-১ গোলের বড় জয় এনে দেন উসমান ডেম্বেলে। সেভিয়ার বিরুদ্ধে পুরো ম্যাচেই আলোচনায় ছিলেন রামোস। স্প্যানিশ অধিনায়ক ম্যাচের ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন। ৮৪ মিনিটে দেখেন হলুদ কার্ড। পরের মিনিটেই করেন নিজেদের জালে আত্মঘাতী গোল। এরপর যোগ করা সময়ে (৯৫ মিনিট) সেই পেনাল্টি থেকেই রিয়ালকে গোল এনে দেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে। আগেই তিন গোল করা সেভিয়া ম্যাচ জিতে নেয় ৩-২ গোলে। সেভিয়ার বিরুদ্ধে এমন করাটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে রামোসের। এই দলটির বয়সভিত্তিক দলেই কিন্তু তার বেড়ে ওঠা। এ কারণে ক্লাবটির প্রতি তার টানও আছে। বার্সা লীগ শিরোপা জিতে নেয়ায় নিয়মিত একাদশ খেলাননি রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান। তা ছাড়া সামনে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালও আছে। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের মাঠে নামিয়ে চোটের ঝুঁকি নেননি জিদান। বার্সার বিপক্ষে আগের ম্যাচে খেলানো একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন তিনি। শুধু করিম বেনজেমা, কাসেমিরো ও রামোস মাঠে নেমেছেন ম্যাচের শুরু থেকে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, টনি ক্রুস, লুকা মডরিচ, নাভাস, মার্সেলো, ভারানেদের মাদ্রিদে রেখে আসেন রিয়াল বস। যে কারণে হারের তেতো স্বাদও পেতে হয়েছে। এ নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন জিদান। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ বলেন, আমাদের অনেক ম্যাচ আছে এবং কাউকে বিশ্রাম দিতেই হতো। ২৬ মে আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল আছে। খেলোয়াড় বদল নিয়ে মানুষ কি ভাবছে সেটা নিয়ে কিছু মনে করছি না। আমি কোচ এবং আমিই সিদ্ধান্ত নেব। জিদান বলেন, আমরা যে দল খেলিয়েছি আমি মনে করি এটা এমন একটা দল যারা জিততে পারত। হারলে আপনি খুশি হতে পারেন না। কিন্তু এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আমরা যা করব এটা তাতে প্রভাব ফেলবে না।
×