ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল, নতুন চ্যাম্পিয়ন ঢাকা

কক্সবাজারে ভাঙ্গল সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা

প্রকাশিত: ০৭:২৮, ৬ মে ২০১৮

কক্সবাজারে ভাঙ্গল সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ালটন ‘মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভ্যাল’ শেষ হয়েছে শনিবার। সেই সঙ্গে সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলাও ভেঙ্গেছে। এবারের টুর্নামেন্টে নতুন চ্যাম্পিয়ন মিলেছে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনের বেক্সিমকো ঢাকা মাস্টার্স। দলটি ফাইনালে খালেদ মাসুদ পাইলটের এয়ার এশিয়া রাজশাহী মাস্টার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলো ঢাকা। শনিবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করে রাজশাহী। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ১২৭ রান করে রাজশাহী। এহসানুল হক ৪৮ ও খালেদ মাসুদ পাইলট অপরাজিত ৩০ রান করেন। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স নেন ৩ উইকেট। জবাব দিতে নেমে পুরো ১৬ ওভারে গিয়ে জিতে ঢাকা। শেষ ওভারে জিততে দরকার ছিল ৪ রান। প্রথম তিন বলে ২ রান নেয়ার পর ৩ বলে জিততে লাগে ২ রান। চতুর্থ ও পঞ্চম বলেও কোন রান না হলে ১ বলে জিততে ২ রান লাগে ঢাকার। ডিকেন্স বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দিয়ে ঢাকাকে চ্যাম্পিয়ন করান। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারে ১৩০ রান করে জিতে ঢাকা। সজল চৌধুরী অপরাজিত ৪৮ রান করেন। ডিকেন্স অপরাজিত ৩৬ রান করেন। ৫৫ রানেই ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সজল ও ডিকেন্স মিলে ৭৫ রানের জুটি গড়ে ঢাকাকে জেতান। সজল ম্যাচসেরা হন। টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে ১৩১ রান ও সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরা হন ডিকেন্স। এর আগে একইদিনে গ্রুপপর্বের দুটি ম্যাচ হয়। হাবিবুল বাশার সুমনের র ন্যাশন্স খুলনা মাস্টার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরে বিদায় নেয় আকরাম খানের আম্বার চিটাগং মাস্টার্স। নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের সিলেট সিক্সার্সকে বৃষ্টি আইনে ৮ উইকেটে হারায় ঢাকা। সিলেট টানা চার ম্যাচেই হেরেছে। ঢাকা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। ফাইনালে রাজশাহীকে হারিয়ে শিরোপা জিতে ঢাকা। গত আসরে, টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরে অল স্টার্স মাস্টার্সের সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জিতেছিল রাজশাহী। এ নিয়ে তিনবার অনুষ্ঠিত হয়েছে এ টুর্নামেন্ট। ২০১৬ সালে প্রথম আসরে খুলনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার হলো ঢাকা। টুর্নামেন্ট শুরুর দিন ক্রিকেটারদের মধ্যে আনন্দ দোলা দিয়েছে। বছর জুড়ে সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। একজন আরেকজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান না। অনেকের সঙ্গে বছর জুড়ে কথাও হয় না। মাস্টার্স ক্রিকেটের মাধ্যমে গত তিন বছর ধরে সেই সুযোগগুলো মিলছে। সবাই মিলে এক ছাদের নিচে থেকে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠছেন। কত পুরনো স্মৃতি সামনে চলে আসে। তা নিয়ে অতীত নাড়াচাড়া হয়। হাসি-ঠাট্টা হয়। আবার কিছু স্মৃতি মনকে খারাপও করে দেয়। শনিবার তৃতীয় আসর শেষ হলো। তাতে আকরাম, সুজন, দুর্জয়, বাশার, পাইলটদের মনটাও যেন খারাপ হয়ে গেল। মিলনমেলা যে ভেঙ্গে গেল।
×