ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক মাসেও সন্ধান মেলেনি গৃহকর্তার ॥ জিডি নেয়নি পুলিশ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩ মে ২০১৮

এক মাসেও সন্ধান মেলেনি গৃহকর্তার ॥ জিডি নেয়নি পুলিশ

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে নিখোঁজের একমাস পরও সন্ধান মেলেনি এক গৃহকর্তার। থানার দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন নিখোঁজ থাকা শওকতের স্ত্রী। তবে খুলশী থানা পুলিশ এই নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ না করা বা লিপিবদ্ধ না করায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্দেহের তীরটা এখন অপহরণকারী চক্রসহ পুলিশের দিকেও রয়েছে। কারণ অপরাধী চক্রের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এদিকে, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) এ ধরনের কোন নিখোঁজের ঘটনা শোনেননি বলে অস্বীকার করেছেন প্রতিবেদকের কাছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঘটনার পর পর ওসি তদন্ত মহিবুর রহমানের কাছে গেলে তিনি জিডি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, থানাকে অবহিত করার পরও পুলিশ কেন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশের কোন যোগাযোগ রয়েছে কিনা। খুলশী থানা জিডি গ্রহণ না করার পেছনে কোন কারণ রয়েছে কিনা। আবার ওসি তদন্ত কোর্ট জিডি করার পরামর্শ দেয়ার কারণ কি। চট্টগ্রাম আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম-এর আদালতে ফরিদা ইয়াসমিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৭৯/১৮ নম্বরে একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এতে মোহাম্মদ আলাউদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনের কথা বলা হয়েছে। নথির তথ্য অনুযায়ী, ফরিদা ইয়াসমিনের স্বামী শওকত আলী গত ২৯ মার্চ লালখান বাজারের ৩৭০ নং হোল্ডিং থেকে এশার নামাজের আগে কুমিরার জিপিএইচ ইস্পাত কারখানার উদ্দেশে বের হন। লালখান বাজার আবাসস্থলের অনতি দূরে থাকা সাতকানিয়া কলোনি মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। রাত্রিকালীন ডিউটি থাকায় অফিসের মাইক্রোবাসে ওঠার জন্য মসজিদ থেকে বের হয়ে নগরীর ওয়াসা মোড়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন। কিন্তু পথিমধ্যে একটি সাদা রংয়ের হাইয়েস মাইক্রো থেকে ৮/১০ জনের একটি দল নেমে শওকত আলীর গতিরোধ করে। তাকে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে মসজিদের মুসল্লি তাজ মোহাম্মদ তাতে বাধা প্রয়োগ করেন। এক পর্যায়ে অপরাধীরা ক্ষিপ্ত হয়ে শওকতকে গাড়িতে তুলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে শওকত আলীর সঙ্গে থাকা মোবাইল (নং-০১৯১১-৬৬৩১৪৯)-এ দফায় দফায় কল দেয়া হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ফরিদা ইয়াসমিন অভিযোগ করেছেন, তাৎক্ষণিক স্থানীয় খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার প্রথমে অপারগতা প্রকাশ করে। বিষয়টি খুলশী থানার ওসি তদন্ত মহিবুর রহমানকে জানানো হলে তিনিও থানায় ডায়েরি নিতে অস্বীকার করেন। এমনকি ফরিদা ইয়াসমিনকে চট্টগ্রাম আদালতে জিডি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী ফরিদার প্রশ্ন পুলিশ কেন থানায় জিডি গ্রহণ করেনি।
×