ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জবিতে শিক্ষককে স্বপদে বহালের দাবিতে ধর্মঘট

প্রকাশিত: ১৯:৪৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৮

জবিতে শিক্ষককে স্বপদে বহালের দাবিতে ধর্মঘট

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমদের চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং তাঁকে স্বপদে বহাল রাখার দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল নয়টা থেকে থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। দাবি আদায়ে দুপুরে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। আজ সকাল নয়টার দিকে প্রতিটি বিভাগ ও ভবনের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে বাংলা বিভাগের একজন নারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধেও প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু নাসির স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা তাঁকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বলে মনে করেন তাঁরা। মানববন্ধনের আহ্বায়ক ও ইংরেজি বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শিপন বলেন, নাসির স্যারকে অপসারণ করার বিষয়টি প্রশাসনেরই ষড়যন্ত্র। তাঁকে অপসারণের মূল কারণ ছাত্রদের যুক্তিসংগত প্রতিটি আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া। তাঁকে যে প্রকাশনার কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। এ ছাড়া যে প্রক্রিয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে, তা প্রশ্নবিদ্ধ। স্যারকে আত্মপক্ষ সমর্থনেরও পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, দাবি আদায়ে আজ দুপুরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ আছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমদকে গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বৈঠকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তিনি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশনা জালিয়াতির করেছেন। তবে ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, যে গবেষণা নিবন্ধের কথা বলা হচ্ছে, তা তাঁর নিজের নয়। নিবন্ধটি কোথাও প্রকাশিতও হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘স্ট্যান্ড ফর নাসির স্যার’ নামে একটি গ্রুপ খোলেন। ওই গ্রুপের মাধ্যমেই গতকাল রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এ ছাড়া ‘কোটা সংস্কার চাই’ ও ‘সকল বৈষম্যের অবসান চাই’ নামের আরও দুটি গ্রুপেও তাঁকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
×