ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরও ৫টি কারখানায় উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে এনোনটেক্স গ্রুপ

বিশ্বের ৬০ দেশে পোশাক রফতানি

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ২৫ এপ্রিল ২০১৮

বিশ্বের ৬০ দেশে পোশাক রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শতভাগ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান এনোনটেক্স গ্রুপ। নিজস্ব অর্থায়নে এ গ্রুপের আরও ৫টি কারখানায় খুব শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে। এসব কারখানার উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানির পাশাপাশি এখন থেকে দেশেও বাজারজাত করা হবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পেও এনোটেক্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। আর এই শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার ঘটিয়ে উন্নয়ন খাতকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে এনোনটেক্স গ্রুপ। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে নিশাত নগরে গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশবান্ধব, দৃষ্টিনন্দন ও স্বাস্থ্যসম্মত এ শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের শতকরা ৫৫ ভাগই নারীশ্রমিক। তাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রয়েছে উন্নতমানের আবাসন ব্যবস্থা। আছে চিকিৎসার সুব্যবস্থা। নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সর্বাধুনিক ফায়ার ফাইটিং সুবিধা। এনোনটেক্স গ্রুপ প্রসঙ্গে জনতা ব্যাংকের এমডি আবদুস ছালাম আজাদ বলেন, এনোনটেক্স গ্রুপ ঋণ খেলাপী নয়। এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব আছে, সব কয়টি হিসাবের লেনদেন নিয়মিত, অশ্রেণীভুক্ত নয়। জানা যায়, টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে নিশাত নগরে প্রায় ৪৫০ বিঘা জমির ওপর এনোনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-১ গড়ে উঠেছে। বৃহদাকার ১৩টি শেড এবং ৪টি বহুতল ভবনে চলছে উৎপাদনের কাজ। শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বিনামূল্যে বসবাসের জন্য রয়েছে ২টি বহুতল আবাসিক ভবন। কারখানার শ্রমিক রোজিনা জানান, প্রতি মাসের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যো আমরা বেতন পাচ্ছি। আছে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা। এনোনটেক্স গ্রুপের স্পিনিং মিলসগুলোর সর্বমোট স্পিন্ডেল সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার। প্রতিদিন কারখানাগুলোতে প্রায় ১৮০-২০০ মেঃ টন তুলা ব্যবহৃত হয়। বছরে প্রায় ১৩ শত কোটি টাকার কাঁচামাল হিসেবে তুলা ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন প্রায় ১৬০ মেঃ টন সুতা উৎপাদিত হয় যার বার্ষিক বিক্রয় মূল্য প্রায় ২১ শত কোটি টাকা। এছাড়া অত্যাধুনিক ইয়ারন ডাইং কোনেস এ্যান্ড হ্যানঙ্কস দ্বারা প্রতি দিন ৪০ মেঃ টন সুতা ডাইং করার ক্ষমতা রয়েছে। এননটেক্স গ্রুপের জারা লেবেল এ্যান্ড প্যাকেজিং লিঃ একটি ১০০% রফতানিমুখী পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং যা বিশ্বমানের যন্ত্রপাতি মুলার, সুইজারল্যান্ড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। প্রতিষ্ঠানটি এফআইবিসি ব্যাগ, প্যাকেজিং ব্যাগ, ফোট গ্রেন ব্যাগ তৈরি করা হয় এবং উন্নতমানের বিভিন্ন লেবেল উৎপাদন করে যা নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ইউএসএ, কানাডা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইউই দেশসমূহে রফতানি করা হয়। এছাড়াও জুট মিলস-এ প্রতিদিন প্রায় ২০ মেঃ টন টুইন ও ২০ মেঃ টন সেকিং ব্যাগ উৎপন্ন করা হয়। যার বার্ষিক উৎপাদন মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি। তাছাড়াও প্রিন্টিং কারখানায় নিট ও উইভিং উভয় প্রকারেরই প্রতিদিন গড়ে ৩০ মেঃ টন উৎপাদন হচ্ছে। এছাড়া ৩ শিফটে দৈনিক প্রায় ৯ লাখ জোড়া মোজা উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মোজা তৈরির কারখানা রয়েছে। আছে ১৫০ হাজার বস্তা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কোল্ড স্টোরেজ, যাহাতে আলু, প্লাপ, খেজুর ইত্যাদি পণ্য সংরক্ষণ করা হয়।
×