ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টেকনাফে প্রসূতির মৃত্যু ॥ মদ্যপ চিকিৎসক আটক

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ৪ এপ্রিল ২০১৮

টেকনাফে প্রসূতির মৃত্যু ॥ মদ্যপ চিকিৎসক আটক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ টেকনাফে মদ্যপ অবস্থায় গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। টেকনাফ থানা পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় মাতাল গ্রাম্য ডাক্তার সুরেশকে আটক করেছে। জানা যায়, টেকনাফ হোয়াইক্যং আমতলী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী তসলিমা আক্তার (১৯) গত ৯ দিন আগে ১টি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। শ্বাসকষ্ট, কাশির সঙ্গে রক্ত আসা এবং শরীরে পানি জমার কারণে সোমবার মধ্যরাতে হোয়াইক্যং বাজারে অবস্থানরত পল্লী চিকিৎসক ডাঃ সুরেশ কান্তি নাথকে নিয়ে যায়। ডাক্তার রোগিণীকে রাসিলিকন, ডিকট, ড্রাইক্লোফেনাক, রেনিসন ইনজেকশনসহ অন্য ওষুধ দিলে প্রসূতি তসলিমা আক্তার রাত পৌনে ২টায় মারা যান। পুলিশ গ্রাম্য ডাক্তার সুরেশ কান্তি নাথকে মদ্যপ অবস্থায় আটক করে। অভিযুক্ত গ্রাম্য চিকিৎসক ডাঃ সুরেশ কান্তি নাথ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান গ্রামের পরিতোষ কান্তিনাথের পুত্র বলে জানা গেছে। কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৬০ ছাত্রী অসুস্থ সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ৩ এপ্রিল ॥ মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬০ ছাত্রী আকস্মিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে একজন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাকি ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম। বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জাতীয় কৃমিনাশক কর্মসূচীর আওতায় সকালে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরে নবম শ্রেণীর ছাত্রী হাসি খাতুন অসুস্থতাবোধ করে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ের সকল মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় বেশ কিছু ছাত্রী মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ এহসানুল কবীর জানান, এ রোগটি বাংলায় গণ হিস্টোরিয়া নামে পরিচিত। এটি কৃমিনাশক খেয়ে হওয়ার কথা নয়। একজনের দেখাদেখি অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
×