ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখনো কিছু সঙ্কট বা সমস্যা রয়ে গেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা অবকাঠামোগত। ২০১৫ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০১৮ সালেও শেষ হয়নি। সময়সীমা বৃদ্ধি করে ২০১৯ পর্যন্ত করা হয়েছে। এ কাজটি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। সুতরাং এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো হাত নেই। এটার জন্য ক্লাসরুম সঙ্কট রয়ে গেছে। ছাত্রদের জন্য দুটি আবাসিক হল আছে। যেখানে এক রুমে ৪ জন ছাত্র থাকার কথা, আমরা সেখানে বাধ্য হয়ে ৮ জনকে রেখেছি। একটি ছাত্রী হল আছে, সেখানে বিশেষ করে বরিশালের বাইরে থেকে যারা পড়তে এসেছে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ডাইনিং সিস্টেম চালু আছে। হলের বাইরে মনোহরি দোকানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেখানে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। চালুর অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। একটি পুকুর আছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। সেটিকে অতি শীগ্রই সুইমিংপুলে রূপান্তর করা হবে। চাকরি বিধিমালা, নিয়োগ বিধিমালা ইত্যাদি ছিল না। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি নীতিমালা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন এনেছি, এর মধ্য দিয়ে কোচিংনির্ভরতা কমবে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। এটা ঠেকাতে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো ‘ইলেকট্রনিক জ্যামার’ চালু করেছি। বিভাগ পরিবর্তনকারী ‘ঘ’ ইউনিট বাদ দিয়েছি। প্রশ্ন ফাঁস সবচেয়ে বেশি হয় ‘ঘ’ ইউনিটে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় সব ফ্যাসিলিটি দিতে কিছুটা সময় লাগছে। আমাদের সীমিত যে সম্পদ আছে, তা নিয়ে আমরা সাধ্যমতো সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার নানা পরিকল্পনা আছে। প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চাই। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণসহ অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে।
×