ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষাশহীদদের স্মরণ

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার শপথ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সারাদেশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ বেদি। পরে মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় দেশ গড়ার শপথ নেয় সাধারণ জনতা। -খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের চট্টগ্রাম জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ভালবাসা ও বিন¤্র শ্রদ্ধা বুধবার চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মী, শিশু-কিশোর, নারী পুরুষসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় শহীদ বেদি। শহীদ মিনার এবং আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় একুশের প্রথম প্রহরে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহীদ মিনার অভিমুখে ছিল জন¯্রােত। বিশেষ এ দিনটিতে বইমেলাসহ একুশের অনুষ্ঠানমালায় জনসমাগম অধিক পরিলক্ষিত হয়। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর শ্রদ্ধা জানান ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দেন। এছাড়া তার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দও ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রামের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী এবং বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার প্রতিনিধিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড, চট্টগ্রাম কাস্টমস, চট্টগ্রাম বন্দর, আনসার ও ভিডিপি, বন বিভাগ, সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, বিআইডব্লিউটিসি, ফায়ার সার্ভিস, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা শহীদ মিনারে ফুল দেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, জাসদ, ন্যাপ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, খেলাঘর আসর, মহিলা পরিষদ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদিত হয় শহীদের প্রতি। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয় পুরো এলাকা। এতে উচ্চারিত হয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ। বুধবার সকালে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বের হয় প্রভাতফেরি। এতে অংশ নেয় শিশু কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সিলেট রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের স্মরণ করেন অগণিত মানুষ। বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে শহীদ মিনারে। শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু হয়। পরে একে একে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলা ও মহানগর, বিএনপি সিলেট জেলা ও মহানগর, জাতীয় পার্টি, জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, ছাত্রলীগ, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ। সিরাজগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে মুক্তির সোপানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্নার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, জাসদ, চেম্বার অব কর্মাস, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। বরিশাল রাত বারোটা এক মিনিটে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ জেলার প্রতিটি উপজেলার শহীদ মিনারে ছিল সর্বস্তরের মানুষের ঢল। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের সুরে কালোব্যাজ ধারণ করে একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবদেন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি, জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল, বিভাগীয় কমিশনার শহিদুজ্জামান, রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন, জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম। খুলনা শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‌্যালি, আলোচনাসভাসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার খুলনায় অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ, কেএমপি ও জেলা পুলিশ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কেডিএ, খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি, ন্যাপ, বিএমএ, খুলনা ওয়াসা, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতকি দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। ব্যক্তিগতভাবে বহু মানুষ শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খুলনা প্রকৌশল বিদ্যালয়ের (কুয়েট) পক্ষ থেকে দিবসের প্রথম প্রহরে ক্যাম্পাসে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে সকালে ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এছাড়া অমর একুশে পালন উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কালোব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরি, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। রাজশাহী রাজশাহীর সর্বত্র নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রথম প্রহর থেকেই রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন শহীদ মিনারে ঢল নামে জনতার। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ মিনারে। সকালে প্রভাতফেরিসহ পালিত হয় নানান আনুষ্ঠানিকতা। দিনভর রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানান কর্মসূচী পালন করেছে। দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে নগর আওয়ামী লীগ। এরপর শ্রদ্ধা জানায় নগর বিএনপি। প্রথম প্রহরে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ভুবনমোহন পার্কে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নগর শাখা, জেলা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, রাজশাহী ওয়াসা, ছাত্রমৈত্রী, যুবমৈত্রী, শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। এদিকে দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমান, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক এম খুরশীদ হোসেন, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মাহবুবর রহমান, জেলা প্রশাসক হেলাল মাহমুদ শরীফ ও জেলার পুলিশ সুপার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া। রংপুর রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, প্রশাসনের কর্তকর্তাবৃন্দ ও সর্বস্তরের লাখো মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এর পর পরেই রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহাম্মেদ, পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ, জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানমসহ জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বগুড়া প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। অনেক সংগঠন সূর্যোদয়ের সময় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সকল সরকারী, আধা সরকারী, বেসরকারী ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। একই সময়ে প্রভাতফেরি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সকাল সাড়ে দশটায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ময়মনসিংহ প্রথম প্রহরে ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ডিআইজি-ময়মনসিংহ রেঞ্জ নিবাস চন্দ্র মাঝি, ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ আব্দুল গনি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউফুফ খান পাঠান, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পৌর মেয়র ইকরামুক হক টিটু, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন, শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। নাটোর রাত ১২-০১ মিনিটে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নাটোর প্রেসক্লাব, পৌরসভা, দৈনিক উত্তরকণ্ঠ পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও দেশের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় শপথ গ্রহণ করা হয়। মৌলভীবাজার রাত ১২টা ১ মিনিটে মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। প্রথমে পুষ্পমাল্য দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন। এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠন। লক্ষ্মীপুর মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় ও জঙ্গীবাদ মুক্ত উন্নত দেশ গড়ার আত্মপ্রত্যয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা এক মিনিট বাজার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মাতৃভাষার জন্য শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল। এরপর পর্যায়ক্রমে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, বেসরকারী বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, পৌর মেয়র আবু তাহের, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইনউদ্দিন পাঠান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা খালেদ আহম্মদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুন্নননী চৌধুরী সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বেলাল হোসেন বেলাল প্রমুখ। কুমিল্লা যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মহের উদ্দিন সেখ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম, জেলার নাশির আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল, সরকারী-বেসরকারী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পাবনা বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ জেলা প্রশাসন ভাষা শহীদের স্মৃতির প্রতি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে। রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক মোঃ জসিমউদ্দিন ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জাসদ, ওয়াকার্স পার্টি, পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, পাবনা মেডিক্যাল কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, বাফাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। নরসিংদী নরসিংদীতে অমর একুশে, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মোসলেহ্ উদ্দীন ভূইয়া স্টেডিয়াম নরসিংদী সংলগ্ন শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বিপিএম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ, নরসিংদী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নরসিংদী সরকারী মহিলা কলেজ, নরসিংদী সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সাটিরপাড়া কালি কুমার উচ্চ বিদ্যালয়সহ জেলা বিএনপি, নরসিংদী প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। মুন্সীগঞ্জ বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে স্মৃতির মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে সর্বস্তÍরের মানুষ। অমর একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম ফুল দিয়ে কর্মসূচীর সূচনা করেন। এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা পরিষদ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। পটুয়াখালী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল পুষ্পার্ঘ অর্পণ, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি এবং আলোচনা সভা। একুশের প্রথম প্রহর রাত ১২.০১ মিনিটে শহরের পৌরসভা চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন পরে জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা পরিষদ, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবসহ অন্তত শতাধিক অঙ্গ-সংগঠন। কুড়িগ্রাম শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসক সালেহ মোহম্মদ ফেরদৌস খান এবং পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, সিভিল সার্জন ডাঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আমিনুল ইসলাম ম-ল পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, প্রেসক্লাবসহ সাধারণ জনতার ঢল নামে শহীদ মিনার চত্বরে। পরে শহীদের আত্মার মাগফিরাত করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ফরিদপুর মঙ্গলবার রাতে শহরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। এছাড়া বুধবার সকালে নগরকান্দা উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, ভারপ্রাপ্তÍ পুলিশ সুপার জামাল পাশা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর পৌরসভা, ফরিদপুর জিলা স্কুল, ফরিদপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ফরিদপুর প্রেস ক্লাব, ফরিদপুর টাউন থিয়েটার, বিএনপি, সিপিবিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা বেগম বাবলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শরফুদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল, সদর উপজেলা ইউএনও তাসনিম জেবিন বিনতে শেখ, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদা হায়দার খান কাজল, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. আইভীর পক্ষে প্যানেল মেয়র আফরোজা আক্তার রিভা। এ ছাড়াও শহর যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর যুবদল, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেডসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। মাগুরা প্রথম প্রহরে মাগুরা সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচীর শুরু হয়। রাত ১২টা এক মিনিটে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ডঃ বীরেন শিকদার এমপি, জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুহাঃ আতিকুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, পুলিশ সুপার মুনিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ তানজেল হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, এলজিইডি, সদর উপজেলা পরিষদ, মাগুরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন। মেহেরপুর ২১-এর প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। শহরের ডঃ শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে অবস্থিত শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন। পরে জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর একে একে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খাগড়াছড়ি দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা শহরের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী পুনর্বাসনবিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। এরপর পর্যায়ক্রমে খাগড়াছড়ি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সদর সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোঃ রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান ও পৌর মেয়র রফিকুল আলম শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।পরে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। সুনামগঞ্জ প্রথম প্রহরে দিবসটি পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যমে দিবসের সূচনা করে। পরবর্তীতে জেলা জাতীয় পার্টি, জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন, জেলা আইনজীবী সমিতি, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ঠাকুরগাঁও রাত ১২টা ১ মিনিটে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ দবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ ফারহাত আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ, প্রেসক্লাব, উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন একে একে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। মানিকগঞ্জ ভাষা দিবস উপলক্ষে আল্পনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা উদীচীর আয়োজনে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভাষা শহীদ রফিক চত্বরে এই আল্পনা উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন। রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, ভাষা শহীদ রফিক পরিবার, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, সাংবাদিক সমিতি, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, জেলা জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। নেত্রকোনা রাত ১২টা ১ মিনিটে নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান শহীদ মিনারে আলোক প্রজ্বলন করে দিবসের সূচনা করেন। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সিপিবি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উদীচী, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, প্রেসক্লাব, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। কুষ্টিয়া প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়া কালেক্টরেট ভবন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বেদিতে সর্বস্তরের মানুষের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিবসের কার্যক্রম। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে শহীদ মিনার বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি জানান শ্রদ্ধা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী ও বেসরকারী ভবনসমূহে অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। ভোরে বিভিন্ন স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নগ্ন পায়ে বের করে প্রভাতফেরি। কিশোরগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে গুরুদয়াল কলেজ মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক মোঃ আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। গাইবান্ধা রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌর মেয়রের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রভাতফেরি বের হয়ে সকালে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জামালপুর প্রথম প্রহরে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ভোরে প্রভাতফেরি শেষে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে জেলার সর্বত্র শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। সংসদ সদস্য মোঃ রেজাউল করিম হীরা, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, সিভিল সার্জন গৌতম রায়, পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন (পিপিএম-বার), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি, জামালপুর সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজের উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। লালমনিরহাট রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুষ্প দিয়ে শ্রদ্ধা প্রদান করা হয়। পরে একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ নানা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ভোলা একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে ভোলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপির নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পর ভোলা প্রেসক্লাব, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে ভোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নামে। দিনাজপুর শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় জেলাবাসী স্মরণ করেছে ভাষা শহীদদের। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ফুলে ফুলে ছেঁয়ে দিয়েছে গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে অবস্থিত শহীদ মিনারসহ জেলার প্রতিটি শহীদ মিনার। আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মহান ভাষা দিবস পালন করেছে জেলাবাসী। একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু বকর সিদ্দিক, দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দিনাজপুর প্রেসক্লাব, আইনজীবী সমিতি নেতৃবৃন্দ। সকালে চিরিরবন্দর উপজেলায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলী ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। নীলফামারী প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে শহীদ বেদিতে পু®পস্তবক অর্পণ করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম। এরপর পর্যায়ক্রমে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পু®পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অপর দিকে দিবসটির সূর্যোদয়ের পরপরই বিভিন্ন সংগঠন প্রভাবফেরি সহকারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় শহীদ মিনারের বেদি ফুলে ফুলে ভরে তোলে। নওগাঁ রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পু®পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন- জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোমিনুল হক, নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ রওশন আরা খানম, সদর উপজেলা নির্বাহী মোশতানজিদা পারভীন, প্রেসক্লাব, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, বরেন্দ্র, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিদুত উন্নয়ন বোর্ড, একুশে পরিষদ, গণপূর্ত বিভাগ, এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ। হবিগঞ্জ রাত ১২টা ১ মিনিটে হবিগঞ্জ শহরের বৃন্দাবন সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থিত শহীদ মিনারে শহীদদের স্মরণে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ মোঃ আবু জাহির। এর পরপরই জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে যথাক্রমে ডিসি মনীষ চাকমা ও বিধান ত্রিপুরা পিপিএম, প্রেসক্লাব, বৃন্দাবন সরকারী কলেজ, নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিনের নেতৃত্বে পাউবো, অধ্যক্ষের নেতৃত্বে সরকারী মহিলা কলেজ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, জাসদ-বাসদ-মহিলা সংস্থা, আনসার-ভিডিপিসহ নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ-সাধারণ মানুষ একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেরপুর রাত ১২টা ১ মিনিটে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) রফিকুল হাসান গনি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম জিয়াউল ইসলাম, শেরপুর পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, আইনজীবী সমিতি, প্রেসক্লাবসহ জেলার অন্যান্য সরকারী-বেসরকারী দফতরের পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাঙ্গামাটি রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক মানজারুল মানান পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। এদিকে কালকিনি, কেশবপুর, আদমদীঘি কেরানীগঞ্জ, ঈশ্বরদী, শাবি, রাবি, চবি ও বাকৃবিতে অনুরূপ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
×