ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে কাটা হচ্ছে আমডাঙ্গা খাল

প্রকাশিত: ০৭:২৩, ২৭ জানুয়ারি ২০১৮

অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে  কাটা হচ্ছে  আমডাঙ্গা খাল

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে খনন করা হচ্ছে আমডাঙ্গা খাল, যে পথ দিয়ে ভবদহ এলাকার পানির একাংশ নিষ্কাশিত হয়। ক্ষমতসীন দলের দুই নেতা নওয়াপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা শুক্রবার স্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠকে খালের জন্য নিজেদের মাছের ঘেরের জমি দান করার ঘোষণা দেন। পরে এনামুল হক বাবুল স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালকাটা কাজ উদ্বোধন করেন। ২০০৫ সালে এলাকায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিলে তৎকালীন চারদলীয় জোটের সংসদ সদস্য এম এম আমিন উদ্দিন এলাকবাসীর আন্দোলনের মুখে নিজ উদ্যোগে মহাকালের কাছে ভৈরব নদ থেকে আমডাঙ্গা বিল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ খাল খনন করেন। কিন্তু খালে পানি প্রবাহে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রেল ও সড়কের ওপর দুটি কালভার্ট। ২০০৬ সালে আবার জলাবদ্ধতা দেখা দিলে জনগণ ওই কালভার্ট দুটি ভেঙ্গে প্রশস্ত করার দাবিতে আন্দোলন করেন। ভবদহ অঞ্চলে নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দিলে আমডাঙ্গা খাল দিয়ে কিছু পানি নিষ্কাশিত হয়। আমডাঙ্গা থেকে এক কিলোমিটার দূরে রাজাপুর বিলের মধ্যে রয়েছে প্রবহমান রাজাপুর খাল। ওই খালের সঙ্গে সংযোগ না থাকায় বিলের পানি ঠিকমতো নিষ্কাশিত হচ্ছে না। আমডাঙ্গা ও রাজাপুর বিলে রয়েছে অনেক প্রভাবশালীদের মাছের ঘের। ২০০৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমডাঙ্গা খালটি রাজাপুর খালের সঙ্গে সংযোগ দেয়ার জন্য জমি অধিগ্রহণ করার নোটিস দেয়। এ সময়ে জমির মালিকেরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, খালটি তিন কিলোমিটার ঘুরে খনন করা হবে। তখন জনগণ খালটি সোজা করে খননের জন্য আন্দোলন করেন। জনগণের আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওই প্রকল্প।
×