ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাইফ ২-১ শেখ রাসেল, রহমতগঞ্জ-বিজেএমসি ম্যাচ গোলশূন্য ড্র

শেখ রাসেলকে হারিয়ে এএফসি কাপে সাইফ স্পোর্টিং

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩ জানুয়ারি ২০১৮

শেখ রাসেলকে হারিয়ে এএফসি কাপে সাইফ স্পোর্টিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক পয়েন্ট পেলেই এএফসি কাপ খেলা নিশ্চিত হতো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নয়, পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েই লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের নবাগত দলটি। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। মজার ব্যাপার ম্যাচে উভয় দলই ১টি করে আত্মঘাতী গোল করে! প্রথম লেগের মোকাবেলায় দুই দল ড্র করেছিল ১-১ গোলে। নিজেদের ২০তম ম্যাচে এটা সাইফের দশম জয়। ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের আগের চতুর্থ স্থানেই আছে। সমান ম্যাচে এটা রাসেলের সপ্তম হার। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তারাও আছে আগের ষষ্ঠ স্থানে। ২ মিনিটে এগিয়ে যায় সাইফ। ডান প্রান্ত দিয়ে মিডফিল্ডার জুয়েল রানা বক্সে ঢুকে ক্রস করেন সতীর্থ কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড হেম্বার ভ্যালেন্সিয়ার উদ্দেশে। চলন্ত বলে পা ছোঁয়ালেই বল চলে যাবে পোস্টে। গেলও বটে। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়া নন, বলটি বিপন্মুক্ত করতে নিজেদের জালেই পাঠিয়ে সর্বনাশটা করেন রাসেলের ডিফেন্ডার অরূপ কুমার বৈদ্য (১-০)! ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরে রাসেল। মাঝ মাঠে ফ্রি কিক পায় তারা। রাসেলের অধিনায়ক-মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু উঁচু সেন্টার করেন সাইফের বক্সে। সেখানে জটলার মধ্যে লাফিয়ে উঠে বলে হেড করে জালের দিকে পাঠান রাসেলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার গার্সিয়া বিদারি। বল আটকাতে তখন গোলপোস্টে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাইফের অধিনায়ক-ডিফেন্ডার আরিফুল ইসলাম। তিনি বলটি বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দেন জালে। আরেকটি আত্মঘাতী গোল (১-১)! ৬৫ মিনিটে এবার আর প্রতিপক্ষের উপহার দেয়া আত্মঘাতী গোল নয়, নিজেরাই গোল করে সাইফ। ডান প্রান্ত দিয়ে উইঙ্গার মতিন মিয়া বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে গড়ানো যে ক্রসটি করেন, তা থেকে নিখুঁত ফিনিশিং করেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম (২-১)। কামাল বাবু নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘এখন সময় খুবই খারাপ যাচ্ছে। খারাপ এবং ভাল সময় সবই আল্লাহ্র দান। খারাপ সময়ে কে আপন, কে পর তা ভালভাবে চেনা যায়। এই বিশ বছরের কোচিং জীবনে অনেক ভাল সময় পার করেছি, খারাপ সময় আসতেই পারে। যদি কোনদিন কোচিংয়ে কোন ভাল কিছু করে থাকি তবে ইনশাআল্লাহ এর ফল পাব।’ গত ২৯ ডিসেম্বর রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির এই কোচের আবেগি কথনের পর পাঠকদের কৌতূহল হতেই পারে, এবারের ফুটবলে রেলিগেশনের খপ্পরে পড়তে যাওয়া রহমতগঞ্জের সর্বশেষ অবস্থাটা কী? উত্তর হচ্ছেÑ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম এবং নিজেদের ২০তম ম্যাচে তারা গোলশূন্য ড্র করে টিম বিজেএমসির সঙ্গে। ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে মাঠ ছাড়েন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার নাজিমউদ্দিন মিঠু ( ৯০+৩)। প্রথম লেগের মোকাবেলায় ২-১ গোলে জিতেছিল বিজেএমসি। এই ড্রতে সাময়িক স্বস্তি পেয়েছে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ। এটা তাদের অষ্টম ড্র। পয়েন্ট ১৪। আরেক দল ফরাশগঞ্জেরও সমান পয়েন্ট। তবে গোলগড়ে এগিয়ে থাকায় ফরাশগঞ্জকে (-২০) তলানিতে ঠেলে দিয়ে একধাপ ওপরে, অর্থাৎ একাদশ স্থানে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ (-১৩)। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা পাঁচবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন বিজেএমসির সপ্তম ড্র। ১৯ পয়েন্ট তাদের। আছে নিরাপদ অবস্থানেই।
×